ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয়রা। সান্টা আনা থেকে আসা শুষ্ক ও শক্তিশালী হাওয়ার জেরে ক্রমশ বেড়েই চলেছে তার তীব্রতা। এখনও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ‘টমাস ফায়ার’কে।
আর এমন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ দাবানলের ফলে প্রকৃতির উপর কী প্রভাব পড়তে চলেছে, তা নিয়ে বিশ্লেষণে নামলেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
দাবানলের প্রভাব খতিয়ে দেখার জন্য তারা এমন বিমান ব্যবহার করছেন, যা যাত্রী পরিবাহী বিমানের থেকেও অনেকটা বেশি উচ্চতায় যেতে সক্ষম। ক্যালিফোর্নিয়ার পামডালে নাসার আর্মস্ট্রং ফ্লাইট রিসার্চ সেন্টারের ইআর-২ বিমানটি মাটি থেকে ২১ হাজার ৩০০ মিটার উচ্চতায় যেতে সক্ষম। যা যাত্রীবাহী বিমানের উড়ান ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ। পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনায় নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে তৈরি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা।
এই বিমানটিতে গবেষণার জন্য যে সমস্ত সামগ্রী রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম অ্যাভিরিস নামে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা। আগুন এবং ধোঁয়ার মধ্যেও এর মাধ্যমে জমির অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া সম্ভব।
আগুনের তাপমাত্রা কত, তাও সঠিকভাবে জানাতে সক্ষম এই যন্ত্রটি।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় এখন কাবু করে রেখেছে মোট ছয়টি দাবানল। টমাস ফায়ার, ক্রিক ফায়ার, রাই ফায়ার, লাইল্যাক ফায়ার, স্কারবল ফায়ার ও লিবার্টি ফায়ার। জানা গেছে, এদের মধ্যে সব চেয়ে বড় ‘টমাস ফায়ার’।