দক্ষিণ চীন সাগরে তৈরি কৃত্রিম দ্বীপে সামরিক প্রস্তুতি শেষ করতে চলেছে চীন। এবং যে কোনও সময়ে যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করতে পারে তারা৷ একটি বিবৃতিতে এমনই জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন৷ ওয়াশিংটন সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশানল স্টাডিজের অন্তর্গত দি এশিয়া মেরিটাইম ট্রান্সপারেন্সি ইনিসিয়েটিভ জানিয়েছে, কৃত্রিম দ্বীপগুলিতে সম্পূর্ণ হয়েছে নৌ ও বায়ু সুরক্ষা৷ এছাড়া বসেছে র্যাডার ও ডিফেন্স প্রযুক্তি৷
যদিও আমেরিকার আনা এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীন৷ তাদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে, দক্ষিণ চীন সাগরে নেভিগেশন পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা আনতেই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে তারা৷ একদিকে যখন সম্পদে পরিপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকার নিয়ে মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আদায় কাঁচ কলায়৷ তখন দক্ষিণ চীন সাগরে গভীর থেকে নজরদারি চালানোর চীনের এই পদক্ষেপ ঝামেলা আরও চূড়ান্ত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷
যদিও চীনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্লাটফর্মের নির্দিষ্ট পজিশনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি৷ অন্যান্য দেশকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন দেই দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের অধিকার ধরে রাখতে চাইছে চীন৷ তারজন্য নানা ধরনের পদক্ষেপও নিয়েছে তারা৷ কখনও কৃত্রিম যুদ্ধ বিমান ঘাঁটি বানিয়ে, কখনও বা সেনা মহড়া চালিয়ে সেই এলাকা নিজেদের দখলে রাখতে চায় চীনারা৷
কারণ একটাই ওই অঞ্চলে সমুদ্রের তলায় থাকা খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিপুল সম্ভারকে নিজেদের হস্তগত করা৷ দক্ষিণ চীন সাগরে শুধুমাত্র চীনের নয় ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই এবং তাইওয়ানেরও অধিকার রয়েছে৷ অন্যদিকে পূর্ব চীন সাগরে অবস্থিত দ্বীপগুলির উপরে অধিকার রয়েছে জাপানের৷