জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সুস্থ ও সুন্দর জাতি গঠন, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে পরিবার পরিকল্পনার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গাগুলোতে প্রাধান্য দিতে হবে। নারীদের জন্য এটা কোন সুযোগ নয়, এটা তাদের অধিকার। এ অধিকার প্রদানে সমান সুযোগ ও প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা গেলে সমন্বিত উদ্যোগে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে।
‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্পিকার এ আহবান জানান। অনুষ্ঠানে বিশিষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সকল সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এমডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) পূরণেও সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে তরুণ ও কর্মক্ষম জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ। অর্থাৎ বর্তমানে বাংলাদেশ পপুলেশন ডিভিডেন্টের সুবর্ণ যুগে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এটি একটি বিরল সুযোগ। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
স্পিকার বলেন, বর্তমানে বিশ্বে জনসংখ্যা প্রায় ৭.৫ বিলিয়ন। বিপুল জনসংখ্যার বিপরীতে সীমিত সম্পদ দিয়ে বিশ্বে জনসংখ্যার সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা কঠিন কাজ।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিবার পরিকল্পনার সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত প্রসারিত করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের আহবান জানান।
এর আগে স্পিকার বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০১৮ এর শুভ উদ্বোধন করেন। অনুুষ্ঠানে তিনি মাঠ পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা কর্মী, শ্রেষ্ঠ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানশেষে তিনি পরিবার পরিকল্পনা মেলা-২০১৮ উদ্বোধন করেন এবং মেলার বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জি ,এম, সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোয়ার, ইউএনএফপি’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. আশা টরকেলসন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।