দেশের দারিদ্র বিমোচনে পল্লী অঞ্চলের উন্নয়নের বিকল্প নেই। পল্লী অঞ্চলের দারিদ্র দূরীকরণে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতে আনা সম্ভব হবে। যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া গেলে কৃষি নির্ভর জনগোষ্ঠী আরও দক্ষতার সাথে নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রোববার (১৪ অক্টোবর, ২০১৮) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ), বগুড়া-এর পরিচালনা পরিষদের ৪৬ তম সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় পরিচালনা বোর্ডের সহ-সভাপতি এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ হাবিবর রহমান, আরডিএ, বগুড়া-র মহাপরিচালক এম এ মতিন ও বোর্ডের সদস্যসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, পল্লী উন্নয়ন একাডেমীসমূহের প্রায়োগিক গবেষণা দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। সারাদেশে ৭০ হাজার নিবন্ধিত সমবায় সমিতি রয়েছে। যেকোন উদ্ভাবনী এ সমিতিগুলোর মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় প্রায়োগিক গবেষণাকে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য পল্লী উন্নয়ন একাডেমীসমূহকে নির্দেশনা দেন। কৃষি উৎপাদনকে কিভাবে আরও বাড়ানো যায় সে বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। একটি সমন্বিত পরিবেশে কাজ করলে দেশ থেকে দারিদ্র চিরতরে নির্মূল হবে।