ধর্মীয়ভাবে দাড়ি রাখার চল সেই আদ্যিকাল থেকে থাকলেও আজকাল দাড়ি রাখা একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সমীক্ষায় জানা গেছে, যে পুরুষেরা দাড়ি রাখেন, তাদের প্রতি মেয়েদের আকর্ষণ তুলনামূলক বেশি। তবে দাড়ি রাখার হ্যাপাও কম নয়। একটু বড় হলেই দাড়িতে গজাতে পারে খুশকি, দেখা দিতে পারে চুলকানিও। অনেকেই জানেন না কীভাবে দাড়ির যত্ন করতে হয়। আজ আমরা জেনে নেব কীভাবে দাড়ির যত্ন করতে হবে।
১. দাড়ির জন্য বিশেষ শ্যাম্পু পাওয়া যায়। তবে সেটা না পেলে চুলে ব্যবহার করা শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়েই কাজ চালাতে পারেন।
২. অনেকেই জানেন না, দাড়িতে মাখার জন্য বিশেষ তেলও পাওয়া যায়। দাড়ির শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করার জন্য দাড়ির তেল মাখুন। এটি আপনার দাড়ির চুলকে রাখবে মোলায়েম ও ঝকঝকে। পাশাপাশি মুখের ত্বকের শুষ্ক ভাবটাও চলে যাবে।
৩. দাড়ির জন্য বিশেষ চিরুনি পাওয়া যায়। বিভিন্ন অনলাইন শপগুলোতে পেতে পারেন দাড়ি আচড়ানোর এই বিশেষ চিরুনি। আর না পেলে বাজারে পাওয়া সবচেয়ে ছোট চিরুনি দিয়েই আচড়ে নিন আপনার দাড়ি। প্রতিদিনই চিরুনি ব্যবহার করুন।
৪. দাড়ির যত্নে ব্যবহার করা যায় বিশেষ ধরনের মলমও। তবে যাদের লম্বা দাড়ি আছে তারা এটা ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট দাড়িতে ব্যবহার করে আরাম পাওয়া যাবে না।
৫. ব্যবহার করুন বিয়ার্ড ট্রিমার। দাড়িকে কাটার জন্য ছোট ট্রিমার পাওয়া যায় বাজারে। চার্জযোগ্য অনেক ট্রিমারই বাজারে পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করা বেশ নিরাপদ।
৬. চুল দাড়ি গজানো শুরু হওয়ার পরপরই দাড়ির কাট দেবেন না। চুল গজানোর জন্য চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় দিন। কারণ দাড়ির সবগুলো চুল একই সাইজের হয় না। তাই একটু বড় হওয়ার পরই দাড়ির কাট দিতে পারেন।
৭. মাঝে মাঝে দুই-একটা দাড়ি অতিরিক্ত বড় হয়ে যায়। সেইসঙ্গে গোঁফের কিছু চুলও বড় হয়ে যায়। এজন্য হাতের কাছে রাখতে পারেন দাড়ি-গোঁফ কাটার জন্য বিশেষ কাচি। তথ্য সূত্র: অনলাইন।