উপমহাদেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিক বিশাল ঈদগাহ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে। প্রায় ৫ লাখ মুসল্লির একসঙ্গে নামাজ আদায় করার লক্ষ্য নিয়ে এই ঈদগাহের মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। মাঠে মুসল্লিরা যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন প্রন্তুতি সম্পন্ন করেছে। আর স্থানীয় সংসদ সদস্য মনে করছেন শোলাকিয়ার মতো বড় জামাত হবে এখানে।
জানা গেছে, একসঙ্গে এত লোক নামাজ আদায় করার মতো ঈদগাহ মাঠ উপমহাদেশে আর একটিও নেই। প্রায় ৫ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে যাতে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য নির্মাণ করা হয়েছে ৫২ গম্বুজ বিশিষ্ট মিনার। ঈদগাহ মিনারের মূল অংশ তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এই ৫২ গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে ২টি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। ৫১৬ ফুট দৈর্ঘ ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে।
দেশের সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক গোড়-এ-শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকের প্রায় অর্ধেক জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেক গম্বুজে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ দেয়া হয়েছে। মিনার দুটির উচ্চতা ৫০ ফিট, যে মেহেরাবে খতিব বয়ান করবেন সেটির উচ্চতা ৫০ ফুট। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়, পরে তা ৬ মাস বর্ধিত করা হয়। বিস্তির্ণ মাঠে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে বালু ভরাট করা হয়েছে। এ কারণে ভেঙে ফেলা হচ্ছে শত বছরের স্টেশন ক্লাব। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. হামিদুল আলম জানান, প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের ঈদের প্রধান জামাতকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঈদগাহের চারপাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির পর জামাতে প্রবেশ করানো হবে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সাদা পোশাকে ঈদগাহ প্রাঙ্গণে দায়িত্ব পালন করবেন। র্যাবসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরাও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সক্রিয় থাকবেন।
সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে জামাত শুরু হবে। দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব শামসুল ইসলাম কাশেমী বৃহত্তম ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন।