ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রতি ৪ জনের মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ হচ্ছেন। এ সপ্তাহেই করোনা সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছতে পারে। এরকম এক পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার।
দিল্লির সব বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। তবে এদের মধ্যেও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বন্ধ ওইসব অফিসের কর্মীদের আপাতত বাড়ি থেকেই কাজ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর অধিকাংশ সংস্থা ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করছিল। এবার তা প্রত্যাহার করে মঙ্গলবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল ডিডিএমএ। অর্থাত্ বেসরকারি অফিসগুলি একশো শতাংশ ওয়ার্ক ফ্রম হোম(Work From Home) মোডে চলে গেল।
এর আগেই দিল্লিতে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করেছিল ডিডিএমএ। তবে এবার সেখানে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ গ্রাহক নেওয়া যাবে। তবে হোম ডেলিভিরি ও টেক হোম ফুড দেওয়ার অনুমতি রেস্টুরেন্টগুলিকে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যন্দ্র জৈন এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের চূড়ান্ত সময়ে আমরা প্রায় পৌঁছে গিয়েছি কিংবা আর ২-৩ দিনের মধ্যে হয়তো পৌঁছে যাব। তারপর থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়তো কমতে শুরু করবে। এটা এসপ্তাহেই ঘটবে। এরকম এক পরিস্থিতিতে ফের একটা কার্ফু জারি করা হতে পারে।’
সোমবার দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৯,০০০ জন। আগেরদিন এই সংখ্যাটা ছিল ২২,৭৫১। ফলে সংখ্যা কমলেও নিশ্চিন্ত থাকতে রাজী নয় কেজরিওয়াল সরকার।
সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, ‘অধিকাংশ আন্তর্জাতিক বিমান দিল্লিতে নামে। ফলে সংক্রমণ বাড়ছে দ্রুত। এই কারণেই দিল্লিতে ওমিক্রন বাড়ছে। যেভাবে সংক্রমণ বাড়াছে তাতে বেডের সমস্যা হতে পারে।’ -জি নিউজ