সুস্থ থাকতে দুধ খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। বয়স যাই হোক, ভিতর থেকে ফিট থাকতে দুধ হল অপরিহার্য। মাছ, মাংস, ডিম, শাকসব্জির স্বাস্থ্যগুণের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দেয় দুধ। কিছু ক্ষেত্রে উপকারিতার দিক থেকে দুধ এগিয়ে যায়। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে হাড় শক্তিশালী করে তোলা, দুধের ক্ষমতা সত্যিই অপরিহার্য। শুধু তো হাড় নয়, দাঁতের যত্নেও দুধ কম উপকারী নয়। দুধ হল ক্যালশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। দুধ না খেলে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি তৈরি হয় শরীরে। সেখান থেকেই নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তাই দুধ খাওয়া বন্ধ করে দিলে চলবে না। অনেকেরই দুধ খেলে গ্যাস-অম্বল হয়। সেই বিষয়টি আলাদা। তেমন কোনও সমস্যা না থাকলে দুধ খেলে সুফল পাবেনই। তবে কিছু খাবার দুধের সঙ্গে খাবেন না। তাহলে কিন্তু হিতে-বিপরীত হতে পারে।
টক ফল: দুধ খাওয়ার আগে কিংবা পরে টকজাতীয় ফল খাবেন না। দুধ খেয়েছেন কিছু ক্ষণ আগেই, ঠিক তার কয়েক মিনিট পরে যদি আঙুর, কমলালেবু খান তাহলে মুশকিলে পড়তে পারেন। কারণ এ ধরনের ফলে সাইট্রিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি রয়েছে। যা দুধের সঙ্গে মিশে হজমের গোলমাল ঘটাতে পারে। বুক জ্বালা, চোয়া ঢেঁকুর ওঠাও অস্বাভাবিক কিছু নয়।
মাছ কিংবা মাংস: পুষ্টির অন্যতম উৎস হল প্রাণিজ প্রোটিন। দুধেও পুষ্টি কম নেই। তবে আমিষ খাবারের সঙ্গে দুধ খেলে সত্যিই মুশকিলে প়ড়তে পারেন। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি প্রোটিন আবার শরীরে অন্দরে অন্য অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
দই: দুধ থেকে দইয়ের জন্ম হলেও একসঙ্গে এই দুই খাবার খাওয়া যাবে না। কিংবা একটার পর অন্যটি খেলেও বিপদে পড়তে হতে পারে। আলাদা ভাবে খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অন্যথায় বদহজমের সমস্যা শুরু হতে পারে।
মশলাদার খাবার: ভাজাভুজি, মশলাদার খাবার খেলে শরীর ভিতর থেকে গরম হয়ে যায়। তার পরেই যদি দুধ খান, তাহলে শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যেতে পারে। বদহজমের ঝুঁকি থাকে। সেই সঙ্গে বমি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল।
পেঁয়াজ: দুধ খাওয়ার পরেই কাঁচা পেঁয়াজ খাবেন না। এতে শরীরের অন্দরে নানা অস্বস্তির জন্ম দেয়। ত্বকে এর প্রভাব পড়তে পারে। অ্যালার্জি হতে পারে। হাত, পা চুলকানোর আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। -আনন্দবাজার