দেশকে ভালবাসতে হলে আমাদের সবাইকে ভ্যাট দিতে হবে। কারণ পদ্মা সেতুসহ দেশের মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে রাজস্বের ওপর ভিত্তি করে। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাশ্রেণীর মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি কমবে। ১৯৯১ সালের পর দেশে ভ্যাট আইনের বাস্তবায়ন হলে দেশের উন্নয়ন কয়েকগুণ বেড়ে যেত। বলছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল।
বুধবার ঢাকা পূর্ব কাস্টম এক্সাইজ ভ্যাট কমিশনারেটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ‘সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২’ বিষয়ে সচেতনতাবিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভ‚মিকা রাখছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট ও কাস্টমস বিভাগ। এই দুটি বিভাগের সকল কর্মকর্তারা দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
কর্মশালায় ঢাকা পূর্ব কাস্টম এক্সাইজ ভ্যাট কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামানের সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ব্যবসায়ীদের জন্য ভ্যাট আইনে রাখা হয়েছে একগুচ্ছ সুবিধা। এখানে সবাই ১৫ শতাংশ কর দেবে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য রয়েছে সুবিধা, ভ্যাট আইনে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভার রাখা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ বার্ষিক টার্নওভার ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৩ শতাংশ টার্নওভার ট্যাক্স প্রদান করলেই হবে। অনাবাসিক ব্যক্তির জন্য থাকছে মূসক এজেন্ট সুবিধা। উপকরণ কর রেয়াতের পরিধি নতুন আইনে অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের সারিতে নিয়ে যেতে রাজস্ব আদায় উন্নয়নের অক্সিজেন হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ডেপুটি ভ্যাট কমিশনার তাছমিনা হোসেন, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক খন্দকার মইনুর রহমান জুয়েল।