বিরাট কোহলির মুকুটে নতুন পালক। ম্যাঞ্চেস্টারের বিখ্যাত ওল্ড ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়ামে দ্রুততম ২০ হাজার আন্তর্জাতিক রানের মালিক হলেন ভারত অধিনায়ক। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের বল গড়ানোর আগেই কোহলির সামনে নতুন নজির গড়ার হাতছানি ছিল। রশিদ খানদের বিরুদ্ধে কোহলি খেলেন ৬৩ বলে ৬৭ রানের ইনিংস। মহম্মদ নবির বলে সে যাত্রায় ফিরে যাওয়ায় সাউদাম্পটনে ২০ হাজার রান করতে পারেননি।
ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে বাকি কাজটা বৃহস্পতিবার সারলেন কোহলি। ম্যাঞ্চেস্টারে আর ৩৭ রান করলেই তিনি সচিন তেন্ডুলকর, ব্রায়ান চার্লস লারাকে ছাপিয়ে যেতেন। সেই কাজটা খুব সহজেই করে ফেললেন ভারত অধিনায়ক। হোল্ডারের বলে মিড-অফে সিঙ্গলস নিয়ে ২০ হাজার রানের পাহাড়ে চড়েন কোহলি।
মাত্র ৪১৭টি ইনিংস খেলেই বিরাট গড়লেন এই রেকর্ড। সচিন ও লারা ৪৫৩ ইনিংস সময় নিয়েছিলেন এই রেকর্ড গড়তে। তাঁদের পরেই ছিলেন দু’টি বিশ্বকাপ জেতা অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং। ৪৬৮টি ইনিংসে তিনি পৌঁছেছিলেন ২০,০০০ রানে। কোহলি যে দ্রুতগতিতে দৌড়চ্ছেন, তাতে অনেক রেকর্ডই ভেঙে যাবে। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ভারত অধিনায়ক ১৩১টি টেস্ট, ২২৪টি ওয়ানডে ও ৬২টি টি টোয়েন্টি ইনিংসে ২০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন। ভারতীয়দের মধ্যে তিনি হলেন তৃতীয় ব্যাটসম্যান, যিনি এই বিরল কীর্তি গড়লেন। সচিন ছাড়াও রাহুল দ্রাবিড় এর আগে ২০ হাজার রান করেন।
এ দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। রোহিত শর্মাকে ১৮ রানে ফেরান কেমার রচ। মুম্বইকর নিজেও বুঝতে পারেননি রচের বলটা তাঁর ব্যাট ছুঁয়েছে কিনা। তৃতীয় আম্পায়ার জানান, বল রোহিতের ব্যাট ছুঁয়ে শাই হোপের হাতে যায়। রোহিত ফিরে যাওয়ার পরে কোহলি ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করেন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে। ৪৮ রানে হোল্ডারের বলে রাহুল ফেরেন। ভারতের রান তখন দু’ উইকেটে ৯৮।