রাজধানীর ধানমন্ডিতে দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ ছিনতাইকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ আবদুল আউয়াল (৩৫), মোঃ শফিকুল ইসলাম সাগর (২১) ও মোঃ সোহেল প্রকাশ ওরফে কানা সোহেল (৩০)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর ২০২৪) ভোর ৬:১৫ টায় ধানমন্ডির রাপা প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ২টি চাপাতি, ১টি লোহার রড ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ১টি হলুদ রঙ এর পিকআপ গাড়ি জব্দ করা হয়।
ধানমন্ডি থানা সূত্রে জানা যায়, জেহাদুল ইসলাম মনি ও তার স্ত্রী মির্জা ফাতিমা জাহান দম্পতি গত ১৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ ভোর আনুমানিক ৩:৫৫ টার সময় বরগুনা হতে রাসেল স্কয়ার বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থেকে নামেন। বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশাযোগে রওনা হয়ে ভোর ৪.১৫ টায় ধানমন্ডির রোড নং-১৩/এ, বাসা নং-২৩ এর সামনে পৌঁছান। রিকশা থেকে নামার মুহুর্তে অজ্ঞাতনামা তিনজন ছিনতাইকারী একটি হলুদ রঙয়ের পিকআপ দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। তারা ধারালো চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও মারধর করে ভিকটিমের স্ত্রীর ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন, ১টি ভ্যানিটি ব্যাগ, ১টি ইবিএল ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও এনআইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়। তাদের মারধরে জেহাদুল ইসলাম মনির স্ত্রী শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন।
ধানমন্ডি সোসাইটি উল্লেখিত ঘটনাটি পুলিশকে জানালে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ছিনতাইয়ের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে। পরে আজ ভোর ৬:১৫ টায় ধানমন্ডি রাফা প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় ভিকটিম জেহাদুল ইসলাম মনির অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘব্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। এ চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত ধানমন্ডি, শেরে বাংলা নগর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় পিকআপযোগে ছিনতাই করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ছিনতাই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।