ডিএমপি নিউজ: প্রবাসীর পাঠানো আত্মসাৎকৃত নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে কনের বাবা-মায়ের কাছে বুঝিয়ে দিলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম।
উদ্ধারকৃত টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন আজ (২ এপ্রিল ২০২৩) ডিএমপি হেডকোয়াটার্সে বুঝিয়ে দেওয়ার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ডিবি দক্ষিণ) সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম-সেবা, পিপিএম-সেবা; গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-সেবা ও উধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া বিয়ের কনের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। ভালো পাত্র পেয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করেন তার অভিভাবক। দুবাই প্রবাসী বড় ভাই বোনের জন্য ক্রয় করেন স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন আর হবু জামাইয়ের জন্য আইফোন। পরিচিত এক দুবাই প্রবাসীকে দুবাই থেকে ঢাকাগামী বিমানের টিকেট কেটে কাস্টমসের জন্য ১৪৫০ দিরহাম দিয়ে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন বোনের কাছে পৌঁছে দিতে তার কাছে বুঝিয়ে দেন।
নির্দিষ্ট দিনে বিমানবন্দরে মালামাল গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন কনের বাবা। কিন্তু প্রতারক প্রবাসী ফাঁকি দিয়ে চলে যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। সব বিক্রি করে দিয়ে নিজের জন্য তৈরি করে একতলা দালান, কিনে নেয় দামি মোটরবাইক। এদিকে বিয়ে ভাঙে মেয়েটির। আর স্বপ্ন ভাঙে পরিবারটির। এ ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি ২০২৩ বিমানবন্দর থানায় আত্মসাতের অভিযোগে মামলা রুজু করেন কনের বাবা।
ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্ন জোড়া লাগাতে কাজ শুরু করে পুলিশ। ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একটি টিম উদ্ধার করে স্বর্ণালংকার বিক্রির নগদ টাকা, দুইটি মোবাইল ফোন এবং ৫ ভরি স্বর্ণালংকার। এরপর আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আজ আত্মসাৎকৃত যাওয়া এ মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। চুরি যাওয়া মালামাল কনের বাবা-মা বুঝে পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।