সে দিনাজপুরের রানীর বন্দর এলাকার একটি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, ২০১৩ সালে তামিম চৌধুরী এবং মাওলানা মোঃ আবুল কাশেম-দের যৌথ প্রয়াসে বাংলাদেশে নব্য-জেএমবি’র জঙ্গিবাদি কার্যক্রমের সূচনা হয়।
সে স্বপরিবারে অনেক আগে থেকেই পুরাতন জেএমবি’র সাথেও জড়িত ছিল। সে নব্য জেএমবি’র বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে তার নিজস্ব মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ প্রদান করে দলটিকে হিংস্র করে তোলে। গত ২০০৯ সালে জেএমবি’র একাংশের আমির মাওলানা সাইদুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর সে বিদ্রোহী অংশ (নিও জেএমবি’র) আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল।
নব্য জেএমবি’র প্রধান তামিম চৌধুরী, মারজান, হাতকাটা মাহফুজ, উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীরসহ নব্য জেএমবি’র গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা তার অনুরক্ত ছিল। ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত অনেক জঙ্গি সদস্যের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছিল।
একই সঙ্গে ধর্মীয় উগ্রবাদ সম্পর্কিত বেশকিছু বই লিখেছে যা নব্য-জেএমবি’র প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বাধ্যতামূলকভাবে পাঠ্যভূক্ত ছিল। তার লেখা নামে-বেনামে বইগুলোর মধ্যে রয়েছে দাওলার আসল রুপ, জিহাদ কেন করবেন ইসলামি বসন্ত ইত্যাদি।