নরওয়ের উত্তরাঞ্চলে তুষারধসের ঘটনায় পর্যটকসহ ৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ধসে রেইনুয়া দ্বীপে একটি বাড়ি ও একটি গোলাঘর সমুদ্রে ভেসে গেছে। এতে অন্তত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আর ভেসে যাওয়ার সময় গোলাঘরটিতে ১৪০টি ছাগল ছিলো বলেও জানা যায়।
অন্য দুটি তুষার ধসের ঘটনায় দুই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। দুইজনই বিদেশি, তবে তাদের জাতীয়তা এখনও জানা যায়নি। এর মধ্যে লিংগেনে প্রথম তুষারধসে একজনের মৃত্যু ও দুইজন আহত হয়।
“ওই এলাকায় ঘুরতে আসা ৫ বিদেশি সেখানে ছিলেন। তার মধ্যে একজন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করছি আমরা,” সাংবাদিকদের বলেছেন পুলিশের মুখপাত্র মরটেন পিটারসেন। আহত দুইজনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর, আরেকজনের ‘আঘাত মাঝারি’, বলেছেন তিনি। পরের দিকে পুলিশ নরদ্রেইসা এলাকার স্টরস্লেটে আরেক তুষারধসে অন্য একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
“এই ব্যক্তি বিদেশিদের বড় একটি ভ্রমণকারী দলের অংশ ছিলেন। ঘটনাস্থলে থাকা ওই দলের এক সদস্যই তার মৃতদেহ পান এবং জরুরি বিভাগকে খবর দেন,” বলা হয়েছে পুলিশের বিবৃতিতে।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টুর এসব মৃত্যুকে ‘ইস্টারের শুরুতে দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বছরের এই সময়ে নরওয়েতে প্রায় প্রতিদিনই তুষারধসের ঘটনা ঘটে; দেশটির প্রায় ৭ শতাংশ এলাকায় এই ধরনের তুষার ধসের ঝুঁকি থাকে, বলছেন বিশ্লেষকরা।
তুষারধসের ব্যাপক সম্ভাবনায় শুক্রবার কর্তৃপক্ষ ত্রমস এলাকার একাধিক ছোট শহরের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়; কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় তুষার ঝড় ও তীব্র বাতাসের সতর্কতাও জারি করেছে। সূত্র: বিডি নিউজ ২৪.কম