দাপটের সঙ্গে বিশ্বকাপের বছরটা শুরু করেছিল ভারত। ৮৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়াকে তাদেরই মাঠে টেস্ট সিরিজ হারিয়েছে দলটি। ওয়ানডে সিরিজও জিতে নেয় ২-১ এ।নিউজিল্যান্ডে গিয়েও জয়ের ধারা ধরে রাখে বিরাট কোহলির দল। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ তে আগেই নিশ্চিত করেছে ২০১১ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।তবে আজ বৃহস্পতিবার লজ্জার মুখ দেখতে হয় চতুর্থ ওয়ানডেতে এসে। বিরাট কোহলি এই ম্যাচে খেলবেন না তা আগেই জানা ছিল। কোহলির পরিবর্তে দলের ভার তুলে দেয়া হয় রহিত শর্মার ওপর।
নিজের ২০০ তম ম্যাচে এসে সেই ভার বহন করতে পারলেন না রহিত। মাত্র ৯২ রানে অলআউট হয়ে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে ৭ম সর্বনিম্ন রানের লজ্জা উপহার দেয়। মাত্র ১৪.৪ বলেই খেলা শেষ করে নিউজিল্যান্ড। এতে নিশ্চিত হয় বলের ব্যবধানে ভারতের সবচেয়ে বড় হারের।হ্যামিল্টনে এই ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক পরিণত করতে ৫.৫ ওভার সময় নেয় কিউই পেসাররা।
শুরুটা হয় ট্রেন্ট বোল্টের হাত ধরে, শিখর ধাওয়ানকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলে।ধ্বংসযজ্ঞের শুরু তখনই। একের পর এক ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখাতে থাকেন বোল্ট ও কলিন ডি গ্রান্ডহোম।ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান আসে ১০ নম্বরে খেলতে নামা যুবেন্দ্রাল চাহালের ব্যাট থেকে। দুই অক্ষরের ঘরে যেতে পারেন মাত্র ৪ জন ব্যাটসম্যান। ব্লাকক্যাপসদের হয়ে ২১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন বোল্ট। গ্রান্ডহোমের শিকার ৩ উইকেট।
৯৩ রানের মামুলি লক্ষ্যে নেমে অবশ্য ১৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এই ১৪ রান আসে মাত্র ৪ বলে মার্টিন গাপটিলের ব্যাট থেকে। ৩৯ রানে অধিনায়ক উইলিয়ামসন ফিরে গেলেও আর কোনও বাঁধা আসেনি জয়ের পথে। হেনরি নিকোলস (৩০) ও রস টেইলর (৩৭) ম্যাচ শেষ করে দেন ১৪.৪ বলে। ২১২ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড। এটাই বলের ব্যবধানে ভারতের সবচেয়ে বড় পরাজয়।৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে ৩ ফেব্রুয়ারি ওয়ালিংটনে।