বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুর্ভাগা ক্রিকেটারদের যদি তালিকা তৈরি করা হয় তাতে প্রথম দিকেই থাকবে তার নাম। জাতীয় দলে এই আছেন তো এই নেই। তবু তৈরি হয়ে অপেক্ষায় থাকেন দেশের হয়ে যেকোনো সময় নিজেকে উজাড় করে দেয়ার। এইতো গেল বছরের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করেই ডাক পড়েছিল দুবাইতে এশিয়া কাপে খেলার জন্য। ২২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে পৌঁছে ২৩ তারিখে খেলেছিলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে মান বাঁচানো অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস!
এরপর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে একটি ৯০ রানের ইনিংস সহ খেলেছিলেন দুটি শতকের ইনিংস (১৪৪ ও ১১৫)।
টানা ভালো খেলার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ব্যর্থতাই বোধহয় কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইমরুল কায়েসের জন্য। তার খেসারত, নিউজিল্যান্ড সফরের দল থেকে বাদ পড়া। সম্প্রতি কিউইদের বিপক্ষে ঘোষণা করা ১৫ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি ইমরুলের।
এ নিয়ে যেমন হতাশ ছিলেন বাম-হাতি এই ব্যাটসম্যান নিজে, তেমনি হতাশ হতে হয়েছে টাইগার ক্রিকেটের সমর্থকেরা। হতাশ হবারই কথা। শেষ ১০টি ওয়ানডে ম্যাচে যদি তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার আর লিটন দাসের সঙ্গে তার পারফর্ম বিবেচনা করা হয় তাতে তামিম ১০ ম্যাচ খেলে ৪টি অর্ধশতক আর দুটি শতকসহ করেছেন ৫১৬ রান। সৌম্য ১০ ম্যাচে ১টি অর্ধশতক ও ১টি শতকসহ করেছিলেন মোট ২৬৯ রান। লিটন দাসেরও ১টি অর্ধশতক আর ১টি শতকসহ মোট ৩৩৪ রান।
এই বিবেচনায় ইমরুল কায়েস ঢের এগিয়ে। শেষ ১০ ম্যাচে ২টি অর্ধশতকের সঙ্গে ২টি শতকের ইনিংসসহ মোট ৫০৫ রান। এমন পারফর্মের পরও কেন দলে নেই ইমরুল? গত ক’দিন ধরে এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই ক্রিকেট পাড়ায়।
অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন নিশ্চিত করেন, নিউজিল্যান্ড সফরে থাকছেন ইমরুল কায়েস। ১৫ সদস্যের দলে যোগ হয়েছে তার নামও। অর্থাৎ সিরিজটি খেলতে ১৬ সদস্যের দল দেশ ছাড়বে। বিপিএলের কারণে দুই ভাগ্যে ভাগ হয়ে রওয়ানা করবে ওয়ানডে দল। প্রথমে ৫ ফেব্রুয়ারিতে এরপর যারা বিপিএলের ফাইনালে উত্তীর্ণ হবে তারা যাবে ৯ ফেব্রুয়ারি।
নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য ১৬ সদস্যের ওয়ানডে দল
মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাঈম হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ।