‘দেখুন স্যার, আমার ছেলে। একে আমি নিজ হাতে খুন করেছি।’ জায়ের উপর রাগ করেই ওই নারী তার ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। বছর দেড়েকের ছেলে কোলে নিয়ে থানায় ঢুকে পুলিশকে দেখে কাঁদতে কাঁদতে বললেন পাষাণ এক মা!
এই হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাঁকোয়া এলাকায়।
রোববার দুপুরে কাঁটাগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কাজল হেমব্রমের এই সরল স্বীকারোক্তি শুনে থ হয়ে যান পুলিশও। এরপর তারা দেখেন, ওই নারীর কোলের শিশুটি নড়ছে না। তারা তখন দেড় বছরের শিশু দীপকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দীপকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তার মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে ওই নিষ্ঠুর মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আড়াই বছর আগে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার সাঁকোয়ার বাসিন্দা কাজলকে বিয়ে করেন কাঁটাগেড়িয়া এলাকার যুবক বাপি হেমব্রম। কিন্তু এ বিয়ে সুখের হয়নি। কেননা ভাবি সোমবারির সঙ্গে স্বামীর মাখামাখি মোটেই পছন্দ ছিল না কাজলের। তার সন্দেহ, স্বামী বাপির সঙ্গে তার জায়ের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে দুই জায়ের মধ্যে সবসময় ঝগড়াঝাটি চলত।
গত শনিবার (২৮ জুলাই) ওই একই ঘটনায় দুই জায়ের মধ্যে ফের ঝগড়া শুরু হয়। এরপরই রাগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কাজল। এতে ব্যর্থ হয়ে ছেলের মুখে কাপড় চেপে ধরেন। ফলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় দেড় বছরের দীপ।
কাজল পুলিশকে আরো জানায়, ‘ঝগড়ার সময় জা বলেছিল আমার স্বামীকে নাকি কেড়ে নেবে। এ কথা শুনে মাথা ঠিক রাখতে পারিনি।’
অন্যদিকে কাজলের জা সোমবারি বলছেন, তিনি নাকি মজা করে এ কথা বলেছিলেন। তার ভাষায়, ‘কিন্তু এ কথায় কেউ নিজের ছেলে খুন করে!’ খবর আনন্দবাজার।