ডিএমপি নিউজঃ শুরু হল বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ১লা ফেব্রুয়ারি থেকেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উৎসবমুখর পরিবেশ ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী এ বই মেলা।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ব্যাপকভাবে পরিচিত একুশে বইমেলা হিসেবে। স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর মধ্যে বইমেলা অন্যতম। প্রতি বছর পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে এই মেলা বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে ও বর্ধমান হাউজ ঘিরে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাংলা একাডেমির মুখোমুখি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
এই মেলার ইতিহাস স্বাধীন বাংলাদেশের মতোই প্রাচীন। যতদূর জানা যায়, ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় এক টুকরো চটের ওপর কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেন।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা এক অনন্য সংযোজন এ বইমেলা। এ মেলা পাঠক ও লেখকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে । বাংলা একাডেমির আয়োজনে মেলায় অংশ নেবে দেশের প্রায় সব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। বই প্রকাশ ও বেচা–কেনার মধ্য দিয়ে চলবে মাসব্যাপী এ বইমেলা।
প্রতিবারের ন্যায় এই বইমেলাকে ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নিয়েছে নিশ্ছিদ্র ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বইমেলার ভেতরে ও বাহিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোষাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শাহবাগ, বকশি বাজার, নীলক্ষেত ও দোয়েল চত্বর এলাকা ঘিরে থাকবে পুলিশে বহিঃবেষ্টনী নিরাপত্তা বলয়। এছাড়াও বইমেলায় স্ট্যান্ডবাই ডিউটিতে রয়েছে ডিএমপি’র স্পেশাল ইউনিট সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ও ডগ স্কোয়াড।
সমগ্র বইমেলা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে মেলার ভিতরে ও চারপাশে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি দিয়ে পর্যবেক্ষন করা হবে। ইভটিজিং, অনাকাঙ্খিত ঘটনা , ছিনতাই ও পকেটমার প্রতিরোধে কাজ করবে পুলিশের বিশেষ টিম। পাশাপাশি বইমেলাকে ঘিরে রয়েছে একাধিক ওয়াচ টাওয়ার। যেখান থেকে সার্বক্ষণিক পুলিশ সদস্যরা দূরবীন দিয়ে দর্শনার্থীদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখবে।
আগত দর্শনার্থীরা কোন প্রকার ব্যাগ, ব্যাগ প্যাক, ভ্যানিটি ব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বইমেলায় প্রবেশ করতে পারবে না। প্রত্যেককে পুলিশের তল্লাশীর মধ্যদিয়ে বইমেলায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে।
বইমেলা ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।