৩২ বছরের বিশ্বকাপ খরাকে ৩৬শে নিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। এবারও ব্যর্থ মেসি,বিদায় নিতে হলো আর্জেন্টিনাকে। জাতীয় দলের হয়ে আরো একবার বড় টুর্নামেন্ট থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হলো এই ফুটবল যাদুকরকে।
ম্যাচের ৯ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। আন্তনিও গ্রিজম্যানের দুর্দান্ত ফ্রি-কিক আর্জেন্টিনার গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারলেও গোলবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার সামনে। ১১ মিনিটে আর ফ্রান্সকে আটকে রাখতে পারেনি আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডাররা। মাঝমাঠ থেকে একাই বল টেনে নিয়ে আর্জেন্টাইন ডিবক্সের ভেতর যেতে থাকেন কেইলান এমবাপ্পে। ডি বক্সের ভেতর তাকে অবৈধভাবে ফেলে দেন মার্কস রোহো। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।
প্রথমার্ধ যখন এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ফ্রান্স ঠিক তখন ৪১ মিনিট ৩৫ গজ দূর থেকে বা পায়ের চোখ ধাঁধানো শটে দুর্দান্ত গোলে আর্জেন্টিনাকে সমতায় ফেরান এঞ্জেল ডি মারিয়া। এরপরেই যেন প্রাণ ফিরে পায় পুরো আর্জেন্টিনা। কিন্তু রেফারি একটু পরেই শেষ বাঁশি বাজালে ১-১ সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মেসির নেওয়া বা-পায়ের শট মার্কাদোর পায়ে লেগে লরিসকে বোকা বানিয়ে জালে জড়ায়। উল্লাসে মেতে ওঠে আর্জেন্টিনা। কিন্তু এটা মাত্র কিছুক্ষণই স্থায়ী ছিল।
৫৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ভলিতে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান পাভার্ড। গোল দিয়ে আরো উজ্জীবিত ফ্রান্স। ৬৪ মিনিটে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগকে বোকা বানিয়ে ডি বক্সের ভেতর একজনকে পরাস্ত করে দুর্দান্ত গোল করেন ম্যাচের অন্যতম সেরা পারফর্মার কেইলান এমবাপ্পে।
ভঙ্গুর ডিফেন্সের সুযোগ নিয়েই জিরুর পাস থেকে আবারো গোল করে বসেন এমবাপ্পে। ১৯ বছর বয়সী এই ফুটবলারের কাছেই মূলত হেরে বসে আর্জেন্টিনা। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক বনে যান এই পিএসজি তারকা। অতিরিক্ত সময়ের দুই মিনিটের মাথায় মেসির বাড়ানো বল থেকে হেড থেকে আর্জেন্টিনার হয়ে তৃতীয় এবং সান্তনাসূচক গোলটি করেন আগুয়েরো। ৪-৩ গোলের হার নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো আর্জেন্টিনাকে।