এখানে প্রযু্ক্তির সঙ্গে মিলেমিশে চলে খাবার পরিবেশন! প্রযুক্তিতে ভরসা রেখে এই প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে রোবটিক রেঁস্তোরা বানাল নেপাল।
রেঁস্তোরাটি নাম নাওলো। নাওলো শব্দের অর্থ নতুন। মাত্র পাঁচটি রোবট দিয়ে চালানো হচ্ছে এই রেঁস্তোরা। এদের তিন জনের নাম জিঞ্জার এবং দু’জনের নাম ফেরি।
প্রতিটা টেবিলে আলাদা করে ডিজিটাল স্ক্রিনের মেনুর অপশন রয়েছে। অনেকটা মোবাইলের টাচ স্ক্রিনের মতো সেই অপশন থেকে নিজের পছন্দের খাবার বেছে নিন। সিটে বসে সুইচ টিপবেন, সরাসরি অর্ডার চলে যাবে রান্নাঘরে। খাবার তৈরি হয়ে গেলে রান্নাঘর থেকে আপনার টেবিলে তা পৌঁছে দিয়ে যাবে রোবট।
তবে ফেরিদের থেকে জিঞ্জাররা একটু বেশি স্মার্ট। মানুষের কথা বুঝতে পারে জিঞ্জাররা। এরা এতটাই বুদ্ধিমান যে, সাধারণ অনেক প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারবে। এমনকি আপনি যদি তাকে কোনও ধাঁধা জিজ্ঞেস করেন, সেটারও ঠিক উত্তরটা দিয়ে দেবে জিঞ্জার। এরা নেপালি এবং ইংরাজি— এই দুই ভাষাতেই সাবলীল।
দক্ষিণ এশিয়ায় নেপালই প্রথম দেশ যারা নিজেদের প্রযুক্তিতে এই রোবট বানিয়েছে। নেপালে বেড়াতে গেলে অন্তত একবার কাঠমাণ্ডুর এই রেস্তরাঁতে ঢুঁ মারাই যায়।
বাংলাদেশেও শিশুদের বিনোদন ও খাবারের বিষয়টি চিন্তা করে রাজধানী ঢাকায় প্রথম রোবট রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু করে গত বছরের ১৫ নভেম্বর। আসাদগেটের পাশে ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় এই রেস্টুরেন্টে মানুষের বদলে রোবটই গ্রাহকদের খাবার সরবরাহ করে।
আরও পড়ুন- ডিজিটাল বাংলাদেশের আরও একধাপ: প্রথম রোবট রেস্টুরেন্ট