পদত্যাগ করলেন কিরগিজস্তানের প্রধানমন্ত্রী কুবাতবেক বরোনভ । নির্বাচন কমিশন ভোটের ফল বাতিল ঘোষণার পর মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন তিনি। কিগিজস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা সাদির ঝাপারভ। কারামুক্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দায়িত্ব নিয়েছেন ঝাপারভ ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা সাদির ঝাপারভকে কারাগার থেকে ছাড়িয়ে নেয়। ২০১৩ সালে এক সরকারি কর্মকর্তাদের জিম্মি করার দায়ে তিনি ১১ বছর ৬ মাসের কারাভোগ করছিলেন। তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন রাজনীতিকও মুক্তি পান।
এর আগে কিরগিজস্তানের বিরোধী দলগুলো পার্লামেন্ট দখল করে। বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে পড়ে ইতোমধ্যে গত রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া কিরগিজস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট বাতিল করা হয়েছে। ঐ ভোটে প্রেসিডন্ট সুরনবই জিনবেকভ ব্যপক ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। কিরগিজস্তানের বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ ছিল ভোট কেনা বেচা হয়েছে ওই নির্বাচনে।
এদিকে বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেও এখনো ক্ষমতায় বহাল আছেন কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সুরনবই জিনবেকভ। তবে যোগ্য নেতা পেলে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে জিনবেকভ। এ নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেন, শক্তিশালো নেতার কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে প্রস্তুত। তবে এ সময় কারো নাম বলেননি তিনি।
কিরগিজস্তানের পার্লামেন্ট সুপ্রিম কাউন্সিল-এর আসন সংখ্যা ১২০টি। দেশটির আইন অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আসন বন্টন করা হয়। তবে পার্লামেন্টে কোনও আসন পেতে গেলে কোনও দলকে ন্যূনতম সাত শতাংশ ভোট পেতে হয়। এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয় কিরগিজস্তানের ১৬টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে কেবল চারটি দল পার্লামেন্টে আসন পাওয়ার ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পেরেছে। এর মধ্যে তিনটি দল আবার প্রেসিডেন্ট সরোনবাই জিনবেকভের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। এদের মধ্যে দুটি দল ২৫ শতাংশ করে ভোট পেয়েছে। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট সুরনবই জিনবেকভ ও তার সমর্থিত দলগুলোর জয়ের পর নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেন কিরগিজস্তানের আন্দোলনকারীরা। এরপরই এই বিক্ষোভ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।