চলচ্চিত্র নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক এক ‘রানি’তেই থেমে থাকল না! পদ্মাবতীর পর এবার বিতর্কের পাল্লায় রানি লক্ষ্মীবাঈ! দীপিকা পাড়ুকোনের পর কঙ্গনা রানাওয়াত। ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘মণিকর্ণিকা’।
রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের চরিত্রে রয়েছেন কঙ্গনা, তাঁর স্বামীর চরিত্রে যিশু সেনগুপ্ত। গোল বেধেছে এই ছবিটি নিয়েই। ছবিটির নির্মাতাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ‘সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভা’। চিঠির সারমর্ম— ‘মণিকর্ণিকা’র বিষয়বস্তু আপত্তিকর এবং রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের চরিত্রহনন করা হয়েছে ছবিতে।
কিছুদিন ধরেই রাজস্থানে শুটিং চলছে এই ছবির, আমরা জানতে পেরেছি একটি গান এবং কিছু দৃশ্যে এক ইংরেজের সঙ্গে রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের প্রেমের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। এও জানতে পেরেছি, লন্ডন প্রবাসী লেখিকা জয়শ্রী মিশ্রর বই ‘রানি’ অবলম্বনে এই ছবিটা বানানো হচ্ছে। আমাদের প্রশ্ন, যে বই উত্তরপ্রদেশ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল, সেই বইয়ের বিষয় নিয়ে কেন ছবি হচ্ছে?’ এক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভার সভাপতি সুরেশ মিশ্র।
২০০৮–এ তৎকালীন মায়াবতী সরকার জয়শ্রী মিশ্রের ‘রানি’ বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল, কারণ, বইটিতে রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের সঙ্গে এক ইংরেজ ব্যক্তির প্রেমের সম্পর্কের উল্লেখ রয়েছে। ‘রানি লক্ষ্মীবাঈ ছিলেন ব্রাহ্মণ মহিলা। আমাদের সম্প্রদায়ের ভাবাবেগ জড়িত রয়েছে তাঁর সঙ্গে। আমাদের জানা দরকার, ‘মণিকর্ণিকা’তে কীভাবে দেখানো হয়েছে তাঁকে। এই সম্পর্কিত একটি চিঠিও ছবির প্রযোজক কমল জৈনকে পাঠানো হয়েছিল ৯ জানুয়ারি। একমাস হয়ে গেল কোনও উত্তর আসেনি। এমন চললে ছবির শুটিং বন্ধ করে দিতে পিছপা হব না। স্পষ্ট হুমকি সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভার সভাপতি সুরেশ মিশ্রর।
এই বিতর্কে ‘মণিকর্ণিকা’ কতটা উপকৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা সময়ই বলবে। আপাতত আলোকবৃত্তে সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভা সম্প্রদায়!