আর মাত্র ১১টি স্প্যান বাকি রয়েছে। ইতিমধ্যে ৩০টি স্প্যান বসিয়ে সাড়ে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকছে না আর ১১টি স্প্যান বসানো হলেই পরিপূর্ণতা পাবে পদ্মা সেতু। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ। শনিবার (৩০ মে) পদ্মা সেতুতে বসানো হলো ৩০তম স্প্যান। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে সেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। এর ফলে পদ্মা সেতুর ৪ হাজার ৫০০ মিটার দৃশ্যমান হলো।
৪২টি পিলারের ওপর মোট ৪১টি স্প্যান জোড়া দেয়া সম্পন্ন হলে পদ্মা সেতু পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদী শাসনের কাজ করছে চীনের সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার (২৯ মে) দুপুর দেড়টার দিকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেন দিয়ে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি বহন করে জাজিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের কাছে এনে নোঙ্গর করে রাখা হয়। শনিবার সকাল ৭টার দিকে স্প্যানটি খুঁটির ওপর ওঠানোর কাজ শুরু করেন পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে জাজিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি স্থাপন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুতে বসানোর জন্য আরও পাঁচটি স্প্যান প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে দুটিতে রং করার কাজ চলছে। মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৮৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। আগামী বছর জুন মাসে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি দ্বিতল হবে। যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। সেতুর এক পিলার থেকে আরেক পিলারের দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিটার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতায় নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।