ডিএমপি নিউজ: রাজধানীর খিলক্ষেতে ইকরাম হোসেন মোল্লা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) খিলক্ষেত থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- শান্ত ও মোঃ সিদ্দিক।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আঃ আহাদ বিপিএম (বার), পিপিএম জানান, গত ৫ মে ২০২৩ খিলক্ষেতের ডুমনী এলাকার মো: ইকরাম হোসেন মোল্যা নিখোঁজের ঘটনায় একটি জিডি করা হয়। এরপর খিলক্ষেত থানা পুলিশ ইকরামকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে। অন্যদিকে বসুন্ধরা স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশে বালুচর এলাকায় পরদিন সকালে একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরিবার এটি ইকরামের লাশ বলে সনাক্ত করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খাতা সেলাইয়ের ভ্রমর, কাটার ও ১টি হাতুড়ি জব্দ করে। এ ঘটনায় গত ৬ মে ইকরামের পিতা বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে ৬ মে রাতে খিলক্ষেত থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শান্ত ও সিদ্দিককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ইকরাম তার বন্ধু শান্তকে বালুর ব্যবসার জন্য ২ লক্ষ টাকা দেয়। বালুর ব্যবসার লাভের টাকা না দেয়ায় ইকরাম শান্তর কাছে টাকা ফেরত চায়। শান্ত ইকরামকে টাকা না দেওয়ার পাঁয়তারা করতে থাকে। অপরদিকে ইকরামের অপর বন্ধু সিদ্দিকের বেপরোয়া জীবনযাপনের জন্য তার মাকে বিচার দেয়। ভিকটিম ইকরামের এমন আচরণে শান্ত ও সিদ্দিক ক্ষুব্ধ ছিল। অভিযুক্ত শান্ত ও সিদ্দিক তাদের এই ক্ষোভ থেকে ইকরামকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। গত ৪ মে ইকরামকে ফোন করে ডুমনীর বালুচর এলাকায় ডেকে নিয়ে আসে শান্ত। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী ভ্রমর, হাতুড়ি ও কাটার দিয়ে শান্ত ও সিদ্দিক ভিকটিম ইকরামকে হত্যা করে মৃতদেহ কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করে।
গ্রেফতারকৃত শান্ত ও সিদ্দিককে খিলক্ষেত থানায় দায়ের করা মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। শান্তর কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ও সিদ্দিকের বেপরোয়া চলাফেরার জন্য তার মায়ের কাছে বিচার দেওয়ায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইকরামকে হত্যা করা হয় মর্মে শান্ত বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।