পাকা তালের তৈরি খাবার কমবেশি সবারই বেশ পছন্দের। ইতোমধ্যে বাজারে পাকা তাল চলে এসেছে। পাকা তালের রস থেকে নানা ধরনের পিঠা-পায়েস তৈরি হয়। তালের মধ্যে থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও পুষ্টিগুণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
তালের পুষ্টিগুণ : পাকা তালের খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রামে জলীয় অংশ ৭৭.২ গ্রাম, খনিজ০.৭ গ্রাম, আঁশ ০.৫ গ্রাম, আমিষ ০.৭ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম শর্করা ২০.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯ মিলিগ্রাম ও খাদ্য শাক্তি ৮৭ কিলোক্যালরী রয়েছে। তালের রস শ্লেষ্মানাশক। এটি মূত্রকর , প্রদাহ ও কোষ্ঠাঠিন্য নিবারণ করে। রস থেকে তৈরি তালমিসরি সর্দি কাশির মহৌষধ, যকৃতের দোষ নিবারক ও পিত্তনাশক।
তালের উপকারিতা: সদ্য আহরিত তালের রস পানীয়। প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণা মেটায় তালের কচি শাঁস ও এর ভেতরের সুমিষ্ট পানি। পাকা তালের রস দিয়ে নানা ধরনের পিঠা, গুড়, মিশ্রি, ইত্যাদি তৈরি করা যায়। কচি তালের শাঁস খেতে মিষ্টি ও সামান্য গন্ধ আছে। আজকাল তাল দিয়ে জিলাপি, রসমালাই, রোল, পুলি পিঠা, তালের বড়া ইত্যাদিও তৈরি করতে দেখা যায়। তাল-দুধ, তাল-মুড়ি, আঁটির ভেতরের সাদা শাঁস খুবই মুখরোচক খাবার। এসব খাবার খেলেও মুখের রুচি বাড়ে। হজমও হয় ভাল। পাকা তালের রস কনফেকশনারীতে শুকনো খাবার প্রস্তুত করনের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
তালের পিঠা: বর্ষার বিকেলে, কি স্যাঁতসেঁতে সন্ধ্যায় তালের পিঠার চেয়ে মজাদার আয়োজন আর হয় না। কিন্তু পাকা তাল ছেঁকে তা থেকে রস আলাদা করার ঝামেলার জন্য অনেকেই এই আয়োজনে হাত দিতে দু’বার ভাবেন।
বলাই বাহুল্য, তালের পিঠার সবগুলো রেসিপি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে- যত ঝামেলা ঐ তাল ছেঁকে কাঁথ বের করাতেই। ধৈর্য ধরে একবার রস তৈরি করতে পারা মানে অর্ধেক কাজ গুছিয়ে ফেলা। বাকি থাকল কেবল অন্যন্য উপকরণগুলো ঠিকঠাক মেশানো। এরপর পিঠা তৈরির প্রক্রিয়া একদম পান্তা ব্যাপার। তালের রস থেকে যেসব পিঠা তৈরি হয় তার মধ্যে তালের বড়া, কলাপাতায় তালের পিঠা, তালের পাটিসাপটা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।