লর্ডস টেস্টের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কয়েকজন খেলোয়াড়কে স্মার্ট হাতঘড়ি পরে মাঠে নামার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (আকসু)। প্রথম দিনের খেলায় আসাদ শফিক, বাবর আজম অ্যাপলের স্মার্ট ঘড়ি পরে মাঠে নেমেছিলেন।
স্মার্ট ঘড়ি আসলে শুধু ঘড়ি নয়, এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম। এটিতে রয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ। আইসিসির কর্মকর্তারা বলছেন, এই ঘড়ি পরে মাঠে নামার অনুমোদন নেই । তবে সাধারণ ঘড়ি পরে মাঠে নামতে কোন বাধা নেই। প্রথম দিনের খেলা শেষে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি জানিয়ে দেন আকসুর কর্মকর্তারা। পাকিস্তানের পেসার হাসান আলি এ সম্পর্কে বলেন, ‘আকসু কর্মকর্তা আমাদের বলেছেন, এটা (স্মার্ট ঘড়ি) পরার অনুমোদন নেই। তাই পরবর্তীতে ওটা আর কেউ পরবে না।’
অবশ্য স্মার্ট ঘড়ির যোগাযোগ সিস্টেম বন্ধ করে সেটি খেলা চালাকালীন পরতে বাধা নেই। এমনিতেই ম্যাচের আগে ক্রিকেটারদের অবশ্যই নিজেদের ফোন কিংবা যোগাযোগের যেকোনো ‘ডিভাইস’ আকসুর কাছে জমা দিতে হয়। দিনের খেলা শেষে তা আবার ফেরত পান ক্রিকেটারেরা।
ক্রিকেটে ফিক্সিং এড়াতে এই কঠোরতা অবলম্বন করছে আইসিসির সহযোগী সংস্থা আকসু। স্মার্ট ঘড়ি সমন্ধে আইসিসির মুখপাত্র ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘এই ঘড়িগুলো ফোন কিংবা ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে মেসেজ গ্রহণ করতে পারে, যেটা আইনের পরিপন্থী। এটিকে এক ধরনের ফোনও বলা যায়।’
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, মাঠে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের হাতে স্মার্ট ঘড়ির ছবি দেখার পর আইসিসির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা পিটার ও’শেয়া দিনের খেলা শেষে তিনি পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দেখা করে ঘড়ির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তবে ক্রিকেটারদের বিপক্ষে আকসু কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তোলেনি।