পায়রা বন্দরে অধিক ড্রাফটের জাহাজ আনায়নসহ পূর্ণাঙ্গরুপে বন্দরকে চালুর লক্ষ্যে বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে সভাকক্ষে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলম এবং বেলজিয়াম ভিত্তিক জান ডে নুল (JAN DE NULL) ড্রেজিং কোম্পানির চেয়ারম্যান ডেভিড জনচিরি (DAVID JONCKHEERE) নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পটি বেলজিয়ামের জান ডে নুল কর্তৃক গঠিত পায়রা ড্রেজিং কোম্পানি লিমিটেড বাস্তবায়ন করবে। এ জন্য ব্যয় হবে আনুমানিক ৮হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জোয়ারের সহায়তায় সর্বোচ্চ ১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরের জেটিতে সরাসরি ভিড়তে পারবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেসমূহের জন্য বিদেশ থেকে বছরে ২০ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা বন্দরের পোতাশ্রয়ে সরাসরি খালাস করা যাবে।
এছাড়া ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের তিন হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ ও ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার বাল্কবাহী জাহাজ বন্দরের জেটিতে সরাসরি ভিড়তে পারবে।
পায়রা বন্দরকে গভীর সমুদ্র বন্দর আকারে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাববাবাদ চ্যানেলকে ভবিষ্যতে ১৪ দশমিক ৫ মিটার গভীর করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
প্রকল্পটির আওতায় পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের ৪০ হাজার ধারণক্ষমতার বাল্ক ক্যারিয়ারের চলাচলে সক্ষম চ্যানেল ডিজাইন এবং ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ ১২ বছর পর্যন্ত রক্ষনাবেক্ষণ ড্রেজিং করা হবে।
ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর ফলে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০ থেকে ১২৫ মিটার প্রস্থ এবং সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতা পর্যন্ত চ্যানেল তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ইঞ্জিনিয়ারিং সমীক্ষার জন্য ১৪ মাস এবং ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে ১৪ মাস সময় লাগে। এরপর ৬ মাস প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণে ড্রেজিং এবং ৯ বছর ২ মাস রক্ষণানেক্ষণ ড্রেজিং হবে। এই অর্থ বেলজিয়াম এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির সহায়তায় এইচএসবিসি এবং এর কনসোর্টিয়াম ব্যাংক হতে পায়রা ড্রেজিং কোম্পানি লিমিটেড গ্রহণ করবে।