ডিএমপি নিউজঃ উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে বাঙালি জাতির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা-২০২৩। ইতোমধ্যে দর্শনার্থী, লেখক ও প্রকাশকদের আনাগোনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাসব্যাপী চলবে এ বইমেলা।
সাহিত্য প্রেমীদের এই মেলায় পিছিয়ে নেই পুলিশও। শত ব্যস্ততার মাঝেও সাহিত্য চর্চা করছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। বিভিন্ন লেখকদের মননশীল বই পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে বই মেলায় এবারো রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি বুক স্টল।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতেই মাঠের উত্তর দিকের সারিতে মনোরম পরিবেশে বুক স্টলটি অবস্থিত। বুক স্টলে বইপ্রেমী পাঠকদের জন্য সুবিন্যাস করে রাখা আছে বিভিন্ন পুলিশ লেখকদের গল্প, উপন্যাস, কবিতা ও ছড়ার জনপ্রিয় বইসমূহ।
ডিএমপি’র বুক স্টল-এ পুলিশ লেখকদের উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বিপিএম, পিপিএম রচিত গ্রন্থ ‘পুলিশ জীবনের স্মৃতি, স্বৈরাচারের পতন থেকে জঙ্গি দমন’।
টুরিষ্ট পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) রচিত ‘চিঠিপত্র: শেখ মুজিবুর রহমান’ এবং এর ইংরেজি সংস্করণ ‘Letters of Sheikh Mujibur Rahman’, বেদে সম্প্রদায়ের বিলুপ্ত ঠার ভাষা নিয়ে রচিত গ্রন্থ ‘ঠার’, মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ ও নন্দিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি এস এম মোস্তাক আহমেদ খান বিপিএম, পিপিএম (বার) রচিত মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস ‘নক্ষত্রের রাজারবাগ’, অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে-‘নিতিনা’, ‘ছায়াআত্মা’ ও ‘স্বপ্নখুনি’। এছাড়াও, বইমেলায় ছোট বড় মিলিয়ে এ লেখকের প্রায় ১২৪টি বই রয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে, অতিরিক্ত আইজিপি (অবঃ) ফাতেমা বেগমের পেশাগত স্মৃতিচারণ ও অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা বই-আমার পুলিশ হওয়া। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি মোঃ তওফিক মাহবুব চৌধুরীর মানুষের কথা বিশ্লেষণ করে সত্য-মিথ্যা বের করার পদ্ধতি নিয়ে রচিত বই-আমি জানি তুমি মিথ্যা বলছ। স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি শামীমা বেগম বিপিএম, পিপিএম এর বিবিধ বিষয়ক প্রবন্ধ-জীবন স্তব্ধ জেগে ওঠে শব্দ। ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের পুলিশ সুপার শ্যামল আব্দুল হালিমের ভ্রমণ বিষয়ক বই-বান্দরবানের ঝর্ণা বিলাস। পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শেলীর সায়েন্স ফিকশন নিয়ে লেখা বই-আমি এলিয়ন।
বুক স্টলে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা ডিএমপি নিউজকে জানায়, বইমেলায় আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে গড়ে প্রায় ১২০০ থেকে ১৫০০ জন দর্শনার্থী প্রতিদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এই বুক স্টলটি পরিদর্শন করেন।
তারা আরো জানায়, বইপ্রেমীরা সবাই তাদের চাহিদা মতো বিভিন্ন লেখকের বই পেয়ে দারুন খুশি। বইমেলায় পুলিশের বুক স্টল স্থাপন করায় ডিএমপি’র এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। তারা মনে করেন এটি পুলিশের একটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ যার মাধ্যমে পুলিশ জনগণের আরো কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবে।
পছন্দের বইগুলো আপনার সংগ্রহে রাখার জন্য বইমেলা চলাকালীন যে কোন সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বুক স্টল থেকে ঘুরে আসুন।