ডিএমপি নিউজ: পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ এর পঞ্চম দিনে (২৭ জানুয়ারি ২০২২) বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের সাথে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের মতবিনিময় সভা রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, এমপি ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, এমপিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাগণের উদ্দেশ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, এমপি বলেন, পুলিশের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে। পুলিশের বড় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা গড়ে উঠেছে যা উল্লেখ করার মত। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন দেশে-বিদেশে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। আমরা অর্থনৈতিক ভিত্তি ধরে রাখতে পেরেছি। করোনা মোকাবেলায় এক নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। করোনার মধ্যে পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে। বাংলাদেশ পুলিশসহ সকল সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, এমপি বলেন, গত একযুগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশের অভুতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। ভৌত অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সূচকে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, বিদ্যৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, সমুদ্র বন্দরসহ বৃহৎ বাজেটের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আইন- শৃঙ্খলা রক্ষা করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সাথে পুলিশকে অভ্যস্ত হতে হবে এবং মানবিক হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। জাতীয় জররি সেবা ৯৯৯ এর সেবার প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে সেবা পায়নি আমি এমনটা শুনিনি।
সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, ২০৪১ সালে আমরা ধনী দেশে রপান্তরিত হবো ইনশাল্লাহ। করোনার মধ্যেও আমরা ফরেইন ইনভেস্টমেন্ট পেয়েছি যার ফলে দেশের অর্থনীতির বিকাশ ঘটেছে। বিদেশিরাও জানে আমাদের দেশে রোল অফ “ল“ আছে তাদের ইনভেস্টমেন্ট ফেরত নিয়ে যেতে পারবে।
উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একশত প্রাইভেট ইপিজেড করবেন। যেখানে হাজার হাজার ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হবে, লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। অক্সিজেন ছাড়া যেমন মানুষ বাচঁতে পারেনা তেমনি সোসাইটির অক্সিজেন হচ্ছে সিকিউরিটি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদেরকেও একই গতির হতে হবে।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা নতুন এপিবিএনের ৩টি ইউনিট; গাড়ি ক্রয়ে বিনা সুদে ঋণ প্রাপ্তি; আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার ও ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির বাস ভবন নির্মাণ এবং নতুন ২টি পিটিসি স্থাপন করার দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন সভায় উপস্থিত মন্ত্রীগণ।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সরকারি বিধি-নিষেধ যথাযথভাবে প্রতিপালনার্থে ১০০ জনের কম পুলিশ কর্মকর্তার অংশগ্রহণে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।