ডিএমপি নিউজঃ মাদকসেবী ও মাদক কারবারিকে সামাজিকভাবে বয়কট করুণ, আলোচনা হোক সবখানে সন্ত্রাসবাদ নিরসনে, সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে পুলিশকে সহযোগিতা করুণ, সিটিটিসি’র অঙ্গিকার জঙ্গিবাদ রুখব এবার, মাদক থেকে দূরে থাকি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি। এরকম একাধিক সচেতনতামূলক শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে সজ্জিত হয়ে পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ এর শোভাযাত্রা করল ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগ ও কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
আজ বেলা ১২.৩০টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রধান অতিথি ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম উপস্থিতিতে ডিবি ও সিটিটিসি সর্বস্তরের সদস্যদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রার শুরুতে কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ও সাইবার সিকিউরিটি ইউনিট শুধু পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে না, তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বিনাশ করেছে ডিবি ও সিটিটিসি ইউনিট। ভালো সেবা ও উত্তম ব্যবহার দিয়ে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে কাজ করছে ডিএমপি। সিটিটিসি হচ্ছে আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। ২০১৬ সালের হলি আর্টিসানে সন্ত্রাসী হামলার ৯০ দিনের মধ্যে বেশির ভাগ জঙ্গিদের দমন করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পাল্টিয়ে দিয়েছে আমার ডিএমপি’র টাইগার সোয়াট। মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশের সেবা পৌঁছে দেয়ায় আমাদের পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ এর মূল লক্ষ্য।
সিটিটিসি’র প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, সিটিটিসি ঢাকা মহানগরসহ পুরো বাংলাদেশে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রতিটি দিনই সেবা সপ্তাহের দিন। ডিএমপি’র গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ডিবি ও সিটিটিসি। নিজেদের কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। ডিএমপি বাংলাদেশ পুলিশের ফেস আর ডিএমপি’র ফেস ডিবি ও সিটিটিসি। আমাদের ৩৬৫দিনই সেবার দিন। তারপরও নির্দিষ্ট সেবা সপ্তাহ পালন করে পুলিশের সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করাই এই পুলিশ সেবা সপ্তাহের উদ্দেশ্য।
বক্তব্য শেষে ডিএমপি কমিশনারসহ ডিবি ও সিটিটিসি’র সর্বস্তরের পুলিশ কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে বেইলী রোড দিয়ে ভিকারুননেসা স্কুল এন্ড কলেজের পাশ দিয়ে পুরাতন রমনা থানার সামনে দিয়ে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে এসে শেষ হয়।