ডিএমপি নিউজ: রাজধানীর ভাটারা ও গুলশান থানার দুটি মামলায় ১১টি মোটর সাইকেলসহ চোর চক্রের আরও ১ সদস্যকে গ্রেফতার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতের নাম আব্দুল করিম ওরফে রুবেল। গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১টি মোটরসাইকেলসহ তাকে গ্রেফতার করে ডিবি-গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।
ডিবি-গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সাহা ডিএমপি নিউজকে জানান, রাজধানীর ভাটারা ও গুলশান থানার দুটি মোটরসাইকেল চুরির মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে গত ৯ সেপ্টেম্বর বাদল মাতাব্বর ও তার ভাই রিপন মাতাব্বরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে ৬টি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
পরে রিমান্ডে নিয়ে তাদের দেওয়া তথ্য ভিত্তিতে ১৪ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ১১টি মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের অপর সহযোগী আব্দুল করিম ওরফে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের অপরাধের কৌশল সম্পর্কে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃত রিপন মাতাব্বর ও বাদল মাতাব্বর আপন ভাই। তাদের আরো কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। কেউ মোটরসাইকেল পার্কিং করে রেখে গেলে বাদল মাতাব্বর মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য রাখে। আর তার বড় ভাই রিপন মাতাব্বরের নিকটে থাকা ’আলীবাবা’ নামে খ্যাত মাস্টার কী দিয়ে কয়েক সেকেন্ডে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। তার পরপর চোরাই মোটর সাইকেলটি দ্রুত অপর সহযোগীর নিকট হস্তান্তর করার পর আব্দুল করিম ওরফে রুবেল উক্ত চোরাই মোটর সাইকেলটি কম দামে বিক্রি করতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সর্ম্পকে সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সাহা আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতরা গত ৮ বছরে রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল, টিএসসি, নগর ভবন, গুলিস্তান, ধানমন্ডি লেক, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে।
পুলিশের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে রিপন মাতাব্বরের নামে তিনটি মাদকসহ ২০টি চুরির মামলা, তার ভাই বাদলের নামে তিনটি চুরি মামলা ও আব্দুল করিম ওরফে রুবেলের নামে ৫টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।