আধুনিক যুগের অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার উড়োজাহাজ। একদেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বাহন। হাজার হাজার মাইল পথ কয়েক ঘন্টার মধ্যে পাড়ি দিয়ে পৃথিবী এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভ্রমণ করা যায় এর মাধ্যমে। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ রয়েছে যেখানে কোনও বিমানবন্দর বা এয়ারপোর্ট নেই। সেই সব দেশে যেতে হলে আপনাকে অন্যকোনও দেশের এয়ারপোর্ট ব্যবহার করতে হবে। অথবা বিকল্প পথ খুঁজে নিতে হবে চলুন জেনে নিই সেইসব দেশ সম্পর্কে-
১. ফিলিস্তিন: ফিলিস্তিন বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত একটি রাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি আয়তনে বেশ বড় হলেও দেশটির কোনো এয়ারপোর্ট নেই। ইসরায়েলের বেন কুরিয়ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ফিলিস্তিনের মূল শহরের দূরত্ব ৪১ কিলোমিটার প্রায়। তাই ওই পথেই ফিলিস্তিনে প্রবেশ সবচেয়ে কাছের হয়।
২. ভ্যাটিকান সিটি: ইতালী মাঝে অবস্থিত একটি ছিদ্রায়িত রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটি।
সিসতাইন চ্যাপেল ও সেন্ট পিটার্স প্রাসাদের দেশে নেই কোনো এয়ারপোর্ট। ইতালির রোম এয়ারপোর্টে নেমে সেখান থেকে সড়কপথে যেতে হয় মাত্র ৪৬ হেক্টর আয়তনের পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট্ট এ দেশটিতে।
৩.মোনাকো: ইউরোপের আর একটি ক্ষুদ্র দেশ মোনাকোতেও কোনো এয়ারপোর্ট নেই। তবে ফ্রান্সের নাইস কোর্ট ডি আনজুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে মোনাকো মাত্র ২৫ মিনিটের কার রাইড। তাই ফ্রান্স হয়েই মোনাকোতে যাওয়া ভালো।
৪.লিচেনস্টেইন: পৃথিবীতে সবচেয়ে কম অপরাধের দেশ লিচেনস্টেইন। তবে সরাসরি ফ্লাইটে দেশটিতে যাওয়া যায় না। সুইজারল্যান্ডের গ্যালেন আলটেনহেইন এয়ারপোর্ট থেকে লিচেনস্টেইন এর ভেদুজ এর দূরত্ব মাত্র ৩৮ কিলোমিটার।
৫. এনডোরা: পিরেনিজ পর্বতমালার উপত্যকায় গড়ে ওঠা এনডোরাতেও কোনো এয়ারপোর্ট নেই। ফ্রান্স বা স্পেনে নেমে সড়ক পথে দেশটিতে যাওয়া যায়। তবে স্পেনের গিরোনা-কস্টা ব্রাভা এয়ারপোর্টই দেশটি থেকে কাছে।
৬. সান মেরিনো: পৃথিবীর পঞ্চম ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র সান মেরিনোতেও কোনো এয়ারপোর্ট নেই। পর্বতময় দেশটির চারপাশে ইতালি। রিমিনি শহরের ফেলিনি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নেমে সান মেরিনোতে যেতে হয়।