বেলো হরিজন্তে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে কোপা আমেরিকায় ‘বি’ গ্রুপের প্যারাগুয়ে ও আর্জেন্টিনার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।
ম্যাচে অবশ্য আক্রমণাত্মক শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। প্রথম ২০ মিনিটে দুবার ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি, তবে শেষ শটটা নিতে পারেননি বার্সেলোনার তারকা এই ফরোয়ার্ড।
শুরুর ছন্দ হারিয়ে ফেলা আর্জেন্টিনার রক্ষণে ২৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়ান প্রথম ম্যাচে গোল করা আলবের্তো গনসালেস। ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে তার নেওয়া কোনাকুনি শট ডিফেন্ডার নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়।
নয় মিনিট পর প্রতিপক্ষের আরেকটি পাল্টা আক্রমণে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেনি দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বাঁ দিক দিয়ে বল পায়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ছুটে গিয়ে বাইলাইন থেকে পেনাল্টি স্পটের কাছে কাটব্যাক করেন মিডফিল্ডার মিগেল আলমিরোন। ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো নিচু শটে প্যারাগুয়েকে এগিয়ে দেন মিডফিল্ডার সানচেস।
বিরতির খানিক আগে বড় বিপদে পড়তে পারতো আর্জেন্টিনা। পাল্টা আক্রমণে ছুটে যাওয়া গনসালেসের পা থেকে বল বিপদমুক্ত করতে ডি-বক্সের বাইরে গিয়ে তাকে মারাত্মক ফাউল করে বসেন গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানি। তবে সে যাত্রায় হলুদ কার্ডে পার পান রিভার প্লেটের এই গোলরক্ষক।
অবশেষে ৫৭তম মিনিটে মেসির সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। প্যারাগুয়ের ডি-বক্সে ডিফেন্ডার ইভান পিরিসের হাতে বল লাগলে ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
চার মিনিট পর আর্জেন্টিনার ডি-বক্সে ঢুকে পড়া গনসালেসকে পেছন থেকে ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি ফাউল করলে পেনাল্টি পায় প্যারাগুয়ে। গনসালেসের নিজেই নেওয়া নিচু শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন আরমানি।
সাত মিনিট যোগ করা সময়ে একটানা আক্রমণ করতে থাকে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে, যেন বাকি সময়টা কাটিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় ছিল প্যারাগুয়ে। তাতে তারা সফল। দুই ম্যাচ শেষে জয়ের স্বাদ অপূর্ণই রয়ে গেল প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নদের।