গরম পড়তে শুরু করেছে। ঠান্ডা একটা আমেজ থেকে আবহাওয়াটা মোড় নিচ্ছে গরমের দিকে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময় একটু অসচেতন হলে কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই গরম থেকে রেহাই পেতে আর শরীরকে সুস্থ রাখতে নিতে হবে কিছু বাড়তি সতর্কতা।
পর্যাপ্ত জল পান করুন: গরমকালে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। তাই দেহে জলের জোগান সব সময় ঠিক রাখতে হয়। বেশি করে জলপান করা প্রয়োজন। তবে কিডনি রোগীরা জল কতটা খাবেন, তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
তরল খাবার খান: এ সময়টায় খুব ভারী খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। তরল খাবার বেশি করে খান। স্যুপ, ফলের রস, শসা, ডাব, তরমুজ এগুলো খান। সবজি খাবেন প্রচুর। শরীর ঘামলে খাবার স্যালাইন খান।
রোদে বের হবেন বুঝেশুনে: প্রয়োজন না হলে রোদে বের হবেন না। রোদে বের হলে শরীর বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে৷ আর বাইরে যদি বেরোতেই হয়, ছায়ার মধ্যে দিয়ে চলার চেষ্টা করুন। সঙ্গে রাখুন ছাতা। ব্যবহার করুন সানগ্লাস।
সুতির পোশাক: খুব জমকালো পোশাক পরবেন না। সুতির হালকা রঙের পোশাক পরুন। হালকা রঙের পোশাক শরীরকে ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করবে। কীভাবে? গাঢ় রঙের পোশাক তাপ বেশি শোষণ করে। তবে হালকা রঙের পোশাক তাপ কম শোষণ করে এবং তাপ প্রতিফলিত করে। সিনথেটিক পোশাক এড়িয়ে যান। বাদ দিন কালো রঙের পোশাক।
খুব রোদে ব্যায়াম নয়: শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম তো করবেনই। তবে খুব গরমে বা রোদের ভেতর ব্যায়াম না করাই ভালো। খুব রোদে কোনো শারীরিক পরিশ্রমও করতে যাবেন না। এতে দেহের তাপ বাড়বে। অসুস্থ হয়ে পড়বেন। ব্যায়াম করতে চাইলে খুব ভোরে বা বিকেলে করুন।
বুঝেশুনে গোসল করুন: গরমের মাঝামাঝি সময় দিনে কয়েকবার গোসল করা যায়। তবে গরমের শুরুর দিকে গোসলটা একটু বুঝেশুনে করুন। কেননা, ঠান্ডা থেকে হঠাৎ করে আবহাওয়াটা গরমের দিকে চলে যায় বলে এর সঙ্গে শরীরের মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে৷ এতে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। বেশি গরম লাগলে ভেজা তোওয়ালে দিয়ে গা মুছুন।
মাখবেন না কড়া পারফিউম: গরমে ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে আমরা পারফিউম মাখি। তবে পারফিউম মাখতে হলে হালকা গন্ধের বেছে নিন। কড়া গন্ধের পারফিউম মাখলে গরম লাগার ভাব বাড়বে।
ধূমপান কে না: ধূমপান শরীরকে বেশি গরম করে তোলে। ত্বকে শুষ্কতা বাড়ায়। তাই ধূমপান নয়। এ ছাড়া চা-কফি কম খান। এড়িয়ে যান মদ্যপান। বদলে খান ডাবের পানি, ফলের রস অথবা কেবল বিশুদ্ধ পানি।