ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর কদমতলী থানার মামলায় প্রতারক চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো-মোঃ মারিফুল ইসলাম, মোঃ আসিফ ইকবাল মামুন ও ফরহাদ হোসেন সম্রাট।
গ্রেফতারকৃত ফরহাদ হোসেনের গোডাউন থেকে আত্মসাৎকৃত চোরাই মালামাল ১২ টন ৩০০ কেজি এ্যাংগেলবার, স্কয়ারবার, ফ্লাটবার ও বক্সপাতি উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১৩ লক্ষ টাকা।
গত সোমবার (২৯ আগস্ট ২০২২) বিশেষ অভিযান চালিয়ে রংপুর মহানগরের কোতয়ালী থানা ও নীলফামারি জেলার কিশোরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর ২০২২) সকাল ১২:৩০টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ সংক্রান্তে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
তিনি বলেন, মোঃ আতাউর রহমান একজন ব্যবসায়ী। তিনি কদমতলী থানার মুন্সিখোলা সুবর্ণা ট্রান্সপোট এজেন্সি মালিক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের নিকট হতে একটি ট্রাক ভাড়া করেন। যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো-ট ১৪-৮১০৬। গত (২২ আগস্ট ২০২২) তার নিজ দোকান হতে এ্যাংগেলবার, স্কয়ারবার, ফ্লাটবার ও বক্সপাতি মোট ১৭৯ বান্ডিল সবমোট ওজন ১৪ টন মালামাল এস এম ট্রেডাস রংপুর এর মালিক মোঃ সিয়াম এর নিকট পাঠায়। কিন্তু ট্রাকের ড্রাইভার মালামাল নিয়ে নীলফামারি চলে যায়। পরর্বতীতে মালামাল উক্ত ট্রাকের ড্রাইভারের সহযোগীতায় গ্রেফতারকৃত আসামিরা মালামাল আত্মসাৎ করেন। এ সংক্রান্তে মোঃ আতাউর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কদমতলী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মামলাটি ডিবির গাড়ি চুরি ও প্রতিরোধ টিমের টিম লিডার জাবেদ ইকবাল এর নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে রংপুর মহানগরের কোতয়ালী থানার দক্ষিণ গনেশপুর রংপুর জেলা বাস স্ট্যান্ড মসজিদের সামনে থেকে মারিফুল ও আসিফকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নীলফামারি জেলার কিশোরগঞ্জ থানার মেডিকেল মোড়ের মেসার্স হাসি ট্রেডাস এর প্রোপাইটার ফরহাদকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ফরহাদের গোডাউন থেকে আত্মসাৎকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
প্রতারণার কৌশল সর্ম্পকে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ট্রাকে ভূয়া নাম্বার প্লেট ব্যাবহার করে প্রতারনা মূলকভাবে মুল্যবান মালামাল আত্মসাৎ করে। ট্রান্সপোর্ট লোকদের সাথে যোগাযোগ রেখে পরবর্তীতে সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতারনা করে। অসৎ ব্যবসায়ীদের নিকট আত্মসাৎকৃত চোরাই মালামাল সল্পমূল্যে বিক্রি করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রতারণার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গোয়েন্দা রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবীর এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জুয়েল রানা, পিপিএম এর সার্বিক তত্তাবধনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার জাবেদ ইকবাল নেতৃত্বে অফিসার ফোর্স এর সম্বনয়ে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।