প্রতিবছর দেশে ২০ হাজার মানুষ হেপাটাইটিস রোগে মারা যাচ্ছেন আর বিশ্বে মারা যাচ্ছেন এক কোটি ৪০ লাখ। হেপাটাইটিস এ, বি, সি ও ই-ভাইরাসের কারণে লিভার রোগের প্রকোপ বেশি। আর এর মধ্যে আবার হেপাটাইসিস বি ও সি ভাইরাস দায়ী লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের। ২০৩০ সাল নাগাদ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটিতে। শুধু বাংলাদেশেই ২১ শতাংশ হেপাটাইটিস রোগ ছড়ায় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালনের অভাবে। সাধারণত, ব্যবহার হওয়া সিরিঞ্জ বা সুঁই এবং দূষিত রক্ত শরীরে নিলে হেপাটাইটিস বি ও সি ছড়ায়, আর হেপাটাইটিস এ ও ই ভাইরাস ছড়ায় সাধারণত খাবার ও পানীয়র মাধ্যমে। সচেতনতা, বিশুদ্ধ খাবার পানীয়, নিরাপদ ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ বিশুদ্ধ রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে এ রোগের প্রতিকার সম্ভব বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষ্যে এক সেমিনারে বক্তরা এই কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক ডা. হারিসুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্প্রতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, বেসরকারী মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূইয়া, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা ও বিএসএমএমইউ’র অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল প্রমুখ। ২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস। ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ফোরাম ফর দি স্টাডি অব দি লিভার বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন সেমিনারটি আয়োজন কনে। সেমিনার শেষে একটি র্যালি বের করা হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে শতকরা ৬ জন হেপাটাইটিস বি এবং শতকরা শূন্য দশমিক ৯ ভাগ অর্থাৎ প্রায় এক শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রান্ত। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের শেষ দিকে হেপাটাইটিস বি আক্রান্তদের সংখ্যা মাত্র ৯ শতাংশ। আর হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ রোগীর রোগ নির্ণয়ের আওতায় আসলেও হেপাটাইটিস বি এর ৮ শতাংশ ও সি এর ৭ শতাংশ রোগী চিকিৎসা নিতে সমর্থ হয়েছেন। গবেষণা বলছে, অত্যন্ত জটিল রোগে আক্রান্ত এ রোগীদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগই চিকিৎসার আওতায় আসে না। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস বি আক্রান্তদের ৯০ শতাংশ ও সি ভাইরাসে আক্রান্তদের ৮০ শতাংশ রোগীর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসার জন্য তাদের গ্লোবাল টার্গেট নির্ধারণ করেছে।
বক্তারা বলেন, সঠিক সময়ে যদি সঠিক ওষুধ রোগীকে দেওয়া যায়, তাহলে ভালো চিকিৎসা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত ব্যবহার হওয়া সিরিঞ্জ বা সুঁই এবং দূষিত রক্ত শরীরে নিলে হেপাটাইটিস বি ও সি ছড়ায়, আর হেপাটাইটিস এ ও ই ভাইরাস ছড়ায় সাধারণত খাবার ও পানীয়র মাধ্যমে। আমাদের দেশে ২১ শতাংশ হেপাটাইটিস রোগ ছড়ায় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালনের অভাবে। সাধারণত, ব্যবহার হওয়া সিরিঞ্জ বা সুঁই এবং দূষিত রক্ত শরীরে নিলে হেপাটাইটিস বি ও সি ছড়ায়। আর হেপাটাইটিস এ ও ই ভাইরাস ছড়ায় সাধারণত খাবার ও পানীয়র মাধ্যমে। সচেনতা, বিশুদ্ধ খাবার পানীয়, নিরাপদ ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ও রক্ত গ্রহণের আগে সে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে এ রোগের প্রতিকার সম্ভব বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।