ঠোঁট কথা বলে। না, একটু ভুল হল, আসলে ঠোঁট তো কথা বলেই, এখানে বলতে চাওয়া হচ্ছে, ঠোঁটের আকার-প্রকার ও ঠোঁটের রঙ-ও ‘কথা বলে’! বরং অনেক বেশি কথা বলে, অনেক বিশদে কথা বলে। কারও ঠোঁট দেখেই তাই এই বিষয়ে অভিজ্ঞরা জানতে পারেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ঠিক কেমন মানুষ।
সেই হিসেবে এই বিদ্যাকে অনায়াসে ‘লিপ-রিডিং’ও বলা যেতে পারে হয়তো। আগে জানা জরুরি মোটামুটি কত ধরনের বা কত রঙের ঠোঁট হয়ে থাকে। আর সেগুলি কী ইঙ্গিত করে এবং তা থেকে কী কী ধারণা করা যেতে পারে।
পাতলা ঠোঁটঃ ঠোঁট পাতলা হয় যাঁদের, তাঁরা জীবনে উন্নতি করেন। মোটামুটি ভাবে বলা যায়, যে কাজেই এঁরা হাত দেন, তাতেই এঁরা সাফল্যের মুখ দেখেন। অর্থাৎ, এঁদের স্ট্রাগল কম করতে হয়।
মোটা ঠোঁটঃ যাঁদের ঠোঁট সাধারণত একটু মোটা হয়, তাঁরা একটু রাগী স্বভাবের হয়ে থাকেন। একটু জেদি স্বভাবেরও হন। এঁদের মন প্রায়শই অশান্ত থাকে। চরিত্রে ধৈর্যের অভাব দেখা যায়। তবে এঁরা মাঝেমধ্যে বেশ আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন।
লাল ঠোঁটঃ যাঁদের ঠোঁটের রং বেশ লালচে হয়, তাঁরা রাগী বা একগুঁয়ে প্রকৃতির হন। আবার এঁরা কথার দামও রাখেন। কর্মস্থলে এঁরা খুবই সিরিয়াস।
বড় ঠোঁটঃ কোনও ব্যক্তির ঠোঁটের আকার-আকৃতি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হলে সেই ব্যক্তির মধ্যে ধর্মের প্রতি ঝোঁক দেখা যায়। ভগবানের উপর পূর্ণ বিশ্বাস থাকে এঁদের।
গোলাপি ঠোঁটঃ যাঁদের ঠোঁট গোলাপের পাপড়ির মতো লালাভ হয়ে থাকে, তাঁরা সাধারণত সৌভাগ্যবান হন। কোনওদিনই কষ্টে পড়েন না এঁরা।
কালচে ঠোঁটঃ যে জাতকদের ঠোঁট একটু কালচে এবং কিঞ্চিৎ দাগযুক্ত হয়, জীবনে আর্থিক সমস্যা তাঁদের যেন পিছু ছাড়তে চায় না। দাঁতে দাঁত চিপে তাঁদের এই সমস্যার মোকাবিলা করে যেতে হয়।