ডিএমপি নিউজ: ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে প্রেমিকাসহ এক দোকান কর্মচারীকে গ্রেফতার ও চুরি করা ৩১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো সাঈদ আহমেদ ও তার প্রেমিকা মোসাঃ রিতা। গ্রেফতারের সময় ৩১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মশিউর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-সেবা ডিএমপি নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কোতয়ালী থানাধীন ইসলামপুরে নাশওয়ান ফ্যাশন নামে কাপড় বিক্রির একটি দোকানে বিশ্বস্ততা, অভিজ্ঞতা এবং সততা দেখিয়ে ২০২২ সালে চাকরি নেয় সাঈদ আহমেদ। সে একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। আগে তার নাম ছিল প্রদীপ কুমার বিশ্বাস। বাড়ি গাইবান্ধার সদর থানায়। ইতোপূর্বে চাকরি করেছে রংপুরের বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে। ঘরে প্রথম স্ত্রী বাইতুন্নেছা লতা, দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি আক্তার।
তিনি আরো বলেন, গত শুক্রবার ও শনিবারে কাপড় বিক্রির ৩৩ লক্ষ টাকা জমা ছিল দোকানের লকারে। রবিবার সকালে সাঈদ আরেক কর্মচারীকে নিয়ে কাছাকাছি ঢাকা ব্যাংকে যায় টাকা জমা দিতে। পথে কর্মচারীকে দোকানে ফেরত পাঠিয়ে একাই প্রবেশ করে ব্যাংকে। ব্যাংকের মধ্যে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে ব্যাগ ভর্তি ৩৩ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যায় সোজা প্রেমিকার কাছে গাজীপুরে। সেখান থেকে প্রেমিকাকে নিয়ে যায় নরসিংদী, সেখান থেকে বগুড়া। বগুড়ায় অনেক কেনাকাটা করে সেখান থেকে যায় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দার তেঁতুলিয়ায়। আনন্দফুর্তি করে দুই হাতে খরচ করতে থাকে টাকা। সেখান থেকে যায় প্রেমিকার বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুরে। গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালী জোনাল টিম সেখানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে সাঈদ এবং তার প্রেমিকা রিতাকে।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ট্রাঙ্ক ও মাটিতে গর্ত করে লুকিয়ে রাখা ৩১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাঈদ জানায়, প্রেমিকাকে বিয়ে করে ঘুরে বেড়ানোর জন্যই সে টাকা চুরি করেছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারে এই ভয়ে সে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেখান দিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়ে যশোর দিয়ে যাওয়ার পথে ফরিদপুরে গ্রেফতার হয় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত মোসাঃ রিতার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানা এলাকায়। বিবাহিতা হলেও বর্তমানে সে আলাদা থাকে। নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করে। সাঈদ ও রিতা পরস্পর যোগসাজশে চুরির পরিকল্পনা করে এবং তাকে বিয়ে করতেই সাঈদ ৩৩ লাখ টাকা চুরি করে।