ইতিহাসে ফিরে দেখলে প্রেমের অনেক নজির আমাদের সামনে হাজির হয়। প্রেমের জন্য প্রিয়জনের হাত ধরে অট্রালিকা ছাড়া, রাজপ্রাসাদ ছাড়া, এমনকি সম্রাটের সাম্রাজ্য ছাড়ার ঘটনাও আছে। তবে আজকাল ভোগ-বিলাসী আর স্বার্থপরতার দুনিয়ায় সেরকম নিখাঁদ প্রেম খুব বেশি দেখা যায় না! তবে সেরকম প্রেম যে নেই-তা বলা মুশকিল।
কেননা সম্প্রতি সেই রকম এক নিখাঁদ প্রেমের ঘটনাই ঘটেছে মালয়েশিয়ায়। এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে ভালোবেসে দেশের অন্যতম ধন কুবের বাবার সম্পত্তির অধিকার হেলায় ছেড়ে দিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে সংসার পেতেছেন ৩৪ বছরের এক নারী।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভুত বিজ্ঞানী জেডিডাহ ফ্রান্সিসের প্রেমে পড়েন অ্যাঞ্জেলিনা। তখনই ঠিক করেন বিয়ে করবেন দু’জনে। কিন্তু মেয়ের এই সম্পর্কে ঘোর আপত্তি ছিল বাবা খু কে পেংয়ের। যিনি মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন। এমনকি ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিচারে মালয়েশিয়ার সেরা ৫০ জন ধনকুবেরদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
অ্যাঞ্জেলিনা খু কে পেংয়ের চতুর্থ সন্তান। বাবার কত সম্পত্তি রয়েছে- কখনো খোঁজও নেননি তিনি। শুধু ভালবাসার চাহিদা ছিল তার। যা পূরণ হয়েছে জেডিডাহর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর। তাই কোটি-কোটি টাকার সম্পত্তি মাথাতে না এনে মনের মানুষের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এই নারী।
আর বিয়ের পর ধীরে-ধীরে গড়ে তোলেন নিজের ক্যারিয়ার। এখন তিনি সফল ফ্যাশন ডিজাইনার। বাবার মতো প্রচুর অর্থ হয়তো নেই। তবে শান্তি আছে। আছে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার নির্মল আনন্দ।