চীনের প্রাচীন রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে ‘অসাধারণ উচ্চতায়’ পৌঁছানো চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার শেষ হওয়া পার্টি কংগ্রেসে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্যও শি চীনের শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার ‘চিন্তাধারা’ কমিউনিস্ট পার্টির গঠনতন্ত্রে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
একমাত্র আধুনিক চীনের রূপকার মাও দেজংয়ের ‘চিন্তাধারাই’ ক্ষমতায় থাকাকালে তার নামসহ পার্টির গঠনতন্ত্রে যুক্ত হয়েছিল। এরপর দেং জিয়াওপিং এর ‘তত্ত্ব’ তার মৃত্যুর পর নামসহ পার্টির গঠনতন্ত্রে যুক্ত করা হলেও শি এর আগে আর কারও ‘চিন্তাধারা’ নামসহ পার্টির গঠনতন্ত্রে যুক্ত হয়নি।
এতে শি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হিসেবে মাওয়ের কাতারে উঠে এসেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিবিসি জানিয়েছে, নভেম্বরে চীন সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তখন ট্রাম্পের সঙ্গে শি এর বৈঠকের কথা আছে।
এক টুইটে ট্রাম্প জানিয়েছেন, “অসাধারণ উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য অভিনন্দন জানাতে চীনের প্রেসিডেন্ট শিয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া ও বাণিজ্য নিয়েও কথা বলেছি, দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!”
ট্রাম্প অভিনন্দন জানানোর কয়েক ঘন্টা পর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনও শি-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপকালে শি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ‘চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রতার ভবিষ্যৎ উন্নয়নের পরিকল্পনা প্রণয়ণে যৌথভাবে’ কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পর চীন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। এরপরও দক্ষিণ চীন সাগর ও পূর্ব চীন সাগরে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশীয় মিত্র দেশগুলোর অঞ্চলগত বিরোধের কারণে ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের সম্পর্ক নাজুক হয়ে আছে।
এরইমধ্যে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন চীনা নেতা শি-কে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, “বার্তায় উত্তর কোরীয় ও চীনা জনগণের স্বার্থে দুই দেশ ও দুই দেশের দুই পার্টি মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।”
বার্তায় শি-র রাজনৈতিক মতাদর্শকে স্বীকৃতি দিয়ে বলা হয়, “নতুন যুগে চীনা পদ্ধতিতে সমাজতন্ত্র নির্মাণের পথে প্রবেশ করেছে চীন।”
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে সম্প্রতি দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়লেও এখনও চীনই উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র।