ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। গুলিতে আহত এক ফিলিস্তিনিকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ২০১৪ সালের রক্তক্ষয়ী গাজা যুদ্ধের পর এই প্রথম শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে এত বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক খবরে বলা হয়, শুক্রবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ লক্ষ্য করে ছোড়া ইসরাইলি বাহিনীর কামানে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে দুটি কিশোর ছেলেও ছিল। এতে আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। দুই সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভের এই সপ্তাহে লোকসমাগম ছিল কম। তবে সেই তুলনায় হতাহত বেশি। তখন ২১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছিল দখলদার সেনারা।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস দাবি করেছে, তাদের বিক্ষোভ ছিল পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ ও নিরস্ত্র। জ্যেষ্ঠ হামাস নেতা মাহমুদ আল জাহার বলেন,আজ আমরা সবার কাছে এই বার্তা পৌঁছাতে চাচ্ছি যে, আমাদের লড়াইয়ে কোন অস্ত্র ও বন্দুকের ব্যবহার ছিল না।
তিনি বলেন, আমরা অপেক্ষা করছি, বিশ্ববাসী আমাদের বার্তা গ্রহণ করে ইসরাইলকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধে চাপ দেয় কিনা, তা দেখার জন্য। বিশ্ব যদি সেক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়, তখন দখলদারদের বিরুদ্ধে আমরা অস্ত্র ব্যবহারে বাধ্য হব।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, ফিলিস্তিনিদের অনুপ্রবেশ বন্ধে ও সীমান্তের বেড়া রক্ষা করতে তারা তাজা গুলি ব্যবহার করে যাবে।
জাতিসংঘ দুই পক্ষকে সহিংসতা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছিল বলে স্পষ্ট আলামত রয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।