ডিএমপি নিউজ: মিথ্যা ব্যবসায়িক পরিচয়ে কথিত কোম্পানির ইন্টারন্যাশনাল বিনোদন পরিষেবায় বিনিয়োগের বিনিময়ে মাসিক মুনাফা ও সেলিব্রেটিদের সাথে সময় কাটানোর প্রলোভন দেখিয়ে ১১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে সফল খান, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ জসিম উদ্দিন ও মোঃ মমতাজুল ইসলাম। এসময় তাদের হেফাজত হতে ৬টি মোবাইল ফোন ও ৭টি সিমকার্ড কার্ড উদ্ধার করা হয়।
সিটি সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আরিফুল হোসেইন তুহিন ডিএমপি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ বছরের জানুয়ারি মাসে স্বনামধন্য শপিং মলের একটি স্বর্ণের দোকানের ম্যানেজার বিশ্বজিৎ সাহার (ছদ্মনাম) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি গ্রুপে শিলা, পিয়ালী সাহা ও তানিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। এক পর্যায়ে তারা বিশ্বজিৎকে প্রস্তাব দেয়, মাইরোম্যানসার নামে তাদের একটি কোম্পানি আছে। এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে উচ্চ মুনাফা পাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ রয়েছে। বিশ্বজিৎ তাদের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে ১১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠায়। টাকা পাঠানোর কিছুদিন পর বিশ্বজিৎ বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিউমার্কেট থানায় গত ১০ জুন ২০২৩ তারিখে একটি মামলা রুজু হয়।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বজিৎতের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে হস্তান্তর হয়। মামলা তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের অবস্থান সনাক্ত করা হয়। এরপর গত মঙ্গলবার দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর ও বিরামপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আরিফুল হোসেইন তুহিন বলেন, শিলা, পিয়ালী সাহা ও তানিয়া সবাই ভারতীয়। চক্রের ভারতীয় সদস্যরা বাংলাদেশিদের টার্গেট করে প্রতারণা বা ব্লাকমেইলিং করে। পরে আত্মসাৎকৃত অর্থ তাদের চক্রের বাংলাদেশি সদস্যদের ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়ে তৈরি করা বিকাশ নাম্বারে পাঠাতে বাধ্য করে।চক্রের বাংলাদেশি সদস্যরা এই অর্থ ক্যাশ আউট করে নিজেদের কমিশনের অংশ রেখে বাকি অংশ হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।