বাড়ির ফ্রিজটা শখের জিনিসই হয় গৃহকর্ত্রীর। দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য একটি যন্ত্রও বটে। যন্ত্র বলেই মাঝে মাঝে এক-আধটু পরিষ্কার রাখতে হয় ফ্রিজ। সেই সাথে নিশ্চিত হয় পরিবারের সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা।
ফ্রিজ ব্যবহারে কিছু নিয়ম মেনে চলুন। তাহলে ঘরের সবার স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি কিছুদিন পর পর ফ্রিজ ধোয়া-মোছা থেকে বেঁচে যাবেন আপনি।
শাকসবজি কিংবা ফলমূল সবকিছুই ভালো মতো ধুয়ে ফ্রিজে রাখুন। তাহলে ফ্রিজে গন্ধ হবে না। পেঁয়াজ, রসুন ভুলেও কখনো ফ্রিজে রাখতে যাবেন না।
যে কোনো সবজি প্লাস্টিকের প্যাকেটে রাখার চেষ্টা করুন। প্লাস্টিকের প্যাকেটের মুখ ভালো মতো শক্ত করে বন্ধ করে দিন। এতে শাকসবজি ভালো ও টাটকা থাকবে। কাঁচা মরিচের বোটা ফেলে দিয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগে মুখ বন্ধ করে রাখুন।
বেশির ভাগ সময় ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, লেটুস পাতা ইত্যাদি ফ্রিজে রাখলে শুকিয়ে যায়। এ অবস্থা রোধ করতে পাতাগুলোর গোড়া কেটে তারপর ফ্রিজে রাখুন। সহজে শুকাবে না।
টমেটো ও শসা এক প্যাকেটে না রেখে আলাদা আলাদা প্যাকেটে রাখুন। অনেকদিন টাটকা থাকবে। ডিম রাখার সময় ডিমের মোটা দিকটা নিচের দিক করে রাখলে ডিম অনেকদিন ভালো থাকে।
ডিপ ফ্রিজে ফল বা তরকারি রাখা উচিত নয়। এতে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
ফ্রিজে রাখা খাবার বের করে এনে একবার গরম করেই খেয়ে নিন। একবার গরম করে রেখে দিয়ে আবার ঠাণ্ডা করা – এভাবে বার বার চলতে থাকলে খাবারে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।