ডিএমপি নিউজঃ ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে অমর একুশে বইমেলা। বইমেলায় ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম-বার, পিপিএম বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক দর্শক, লেখক ও প্রকাশকদের সাথে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছি। তারা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। উৎসবমূখর পরিবেশে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা।
বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপিত বেশ কিছু বইয়ের স্টল পরিদর্শন করেন এবং গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রকাশক, পাঠক ও দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
বইমেলা পরিদর্শন শেষে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বইমেলায় গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন- ডিএমপি বইমেলাকে ঘিরে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা অনেক দর্শক, লেখক ও প্রকাশকদের সাথে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছি। তারা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। বইমেলার ভিতরে ও বাহিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোষাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশ ডিউটিতে নিয়োজিত আছে। সিসিটিভি দিয়ে মেলার ভিতরে ও চারপাশে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা প্রদানে মেলা প্রাঙ্গনে ও বাইরে ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে সর্বদা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বইমেলার আশপাশ হকার মুক্ত করা হয়েছে। টিএসসি থেকে দোয়েল চত্ত্বর পর্যন্ত বাংলা একাডেমির স্টিকার ব্যতীত কোন গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। বইমেলাকে কেন্দ্র করে চমৎকার উৎসবমূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বইমেলা বাঙ্গালির প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন- যাতে করে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য মেলায় আলাদা প্রবেশ ও বাহিরের গেইট রয়েছে। প্রত্যেকে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দ্বারা তল্লাশীর মাধ্যমে মেলায় প্রবেশ করছে। তল্লাশী ব্যতীত কাউকে বইমেলায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ছিনতাই, ইভটিজিং, মলম ও অজ্ঞান পার্টি প্রতিরোধে কাজ করছে বিশেষ টিম ।
দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের আহবানে আপনারা সহযোগিতা করায় ডিএমপি’র গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সবাই সন্তুষ্ট হয়েছে। সুন্দর ও সমন্বিত নিরাপত্তা দিতে নগরবাসীকে সবসময় সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার বলেন- যেকোন নতুন বই মেলায় আসলে বাংলা একাডেমি কর্তৃক গঠিত কমিটি তা যাচাই বাছাই করে দেখছেন। এছাড়া্ও আমাদের গোয়েন্দারা নিয়মিত স্টলের বইগুলো পর্যবেক্ষণ করছে। যাতে করে কোন বই ধর্মীয়, সামাজিক ও জাতীয় মূল্যবোধে আঘাত না করতে পারে। যদি এমন কেউ করে থাকে তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিবে।