ডিএমপি নিউজঃ বছর জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও পার্বনের মধ্যদিয়ে বাঙালি তার নিজস্ব সংস্কৃতি ধারণ ও পালন করে থাকে। অমর একুশে বই মেলা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে স্বীকৃতি লাভ করেছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। বইপ্রেমীদের আত্মার খোরাক জোগাতে পশরা বসে দেশের নামী-দামী কবি ও লেখকদের নতুন বই দিয়ে। এক্ষেত্রে বাদ পড়েনা নতুন লেখকদের বইও।
চলছে অমর একুশে বইমেলা ২০২০। নিশ্চয় এরই মধ্যে মেলায় নিজে অথবা পরিবার পরিজনকে নিয়ে ঢুঁ মেরেছেন, কিনেছেন নতুন ও পুরাতন লেখকের বই, কিংবা এখনো বই মেলায় যাওয়ার সময় বের করতে পারেননি। বরাবরের মতো এবারও মাস জুড়ে চলবে এই বইমেলা।
যাঁরা ইতিমধ্যে মেলায় গিয়েছেন তাঁরা কি কখনও ভেবে দেখেছেন কিভাবে সুশৃংখল, পরিপাটি ও নিরাপদ মেলা প্রাঙ্গণ আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছে? আপনার মাঝে নিরাপত্তাবোধ তৈরি করতে অহর্নিশ কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আপনাকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে ডিএমপি।
মেলা প্রাঙ্গণে আসা থেকে যাওয়া পর্যন্ত পুরোটা পথ আপনাকে পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ। বইমেলা ও তার আশপাশ এলাকার প্রতিটি জায়গায় রয়েছে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা। ফলে আপনার গতিবিধি রয়েছে পুলিশের নখদর্পণে। আপনাকে অবশ্যই আর্চওয়ে দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে হবে। সেই সাথে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আপনাকে ম্যানুয়ালি তল্লাশি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রবেশ করতে দিবে।
মেলা প্রাঙ্গণে সুদৃঢ় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের টহল টিম কাজ করছে। মেলায় আগত নারীদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে রয়েছে ডিএমপির বিশেষ টিম। নির্দিষ্ট দূরত্বে বসানো হয়েছে পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার। যেখান থেকে দর্শনার্থীদের গতিবিধিও লক্ষ্য করা হচ্ছে।
পরিবার ও পরিজন নিয়ে বইমেলায় এসেছেন। এরই মধ্যে হঠাৎ প্রচন্ড ভিড়ে বা অন্যকোনভাবে কাউকে হারিয়ে ফেললেন। যে হারিয়েছে তার কাছে কোন মোবাইল ফোন নেই! তখন কি করবেন? ভয় নেই, আপনাকে সেবা দিতে মেলায় অবস্থিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমে রয়েছে লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টার। এক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে খুঁজে নিতে পারেন। শিশুদের কথা মাথায় রেখে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পাশেই আছে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র বা ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার।
মেলায় আগত দর্শনার্থীদের তৃষ্ণা মেটাতে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা রেখেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সেই সাথে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে মেট্রো বেকার্স। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে চিকিৎসায় রয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। “রক্তে মোড়া বাঁধন গড়ি, রক্ত দিয়ে জীবন গড়ি” এই শ্লোগানে বইমেলায় রয়েছে পুলিশ ব্লাড ব্যাংক।
একটি সুন্দর, সু-শৃঙ্খল ও নিরাপদ বই মেলা আয়োজনে পুলিশের দায়িত্ব পালনে আপনার সর্বাত্মক সহযোগিতা একান্ত কাম্য।