আজ ১৭ মার্চ ২০২২, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে নিয়ে এক ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর তেজগাঁও বিভাগ। তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে প্রবেশ করতেই দেখা যায় পুরো স্থানটি দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো। সুবিধাবঞ্চিত ৭০ জন শিশু অতিথির আগমনে আজ সেখানে সারাদিন ছিল সাজ সাজ রব। নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শিশুদের সাথে আজকের এই বিশেষ দিবসটি উদযাপন করা হয় ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ ২০২২) সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে এ বিশেষ আয়োজনটি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএম। পুলিশের এই কর্মকর্তা সবসময়ই শিশুদের সাথে আনন্দঘন সময় কাটাতে ভালোবাসেন।
তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শুরুতেই কোমলমতি শিশুদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। অতঃপর শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, বিপিএম (বার), পিপিএম। এরপর তিনি শিশুদের সাথে মধ্যাহ্নভোজনে অংশগ্রহণ করেন।
মধ্যাহ্নভোজন শেষে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নানা শিক্ষাসামগ্রী। নতুন ব্যাগ, খাতা, রঙ পেন্সিল, কলম, জ্যামিতি বক্স ইত্যাদি হাতে পেয়ে প্রতিটি শিশু আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাচরণ, জীবনদর্শন ও ত্যাগ-তিতীক্ষার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে অতঃপর উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএম শিশুদের নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতি জাদুঘর’ পরিদর্শনে যান। সেখানে শিশুরা জাদুঘরে প্রতিটি ফ্লোর ঘুরে ঘুরে দেখে এবং তাদের জিজ্ঞাসু মনের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এই আয়োজন প্রসঙ্গে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধু তাঁর আজীবন সংগ্রামে সবসময়ই বলেছেন, আমার মূল লক্ষ্য বাংলার দরিদ্র, নিংস্ব, নিপীড়িত ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। শিশু দিবস উপলক্ষে আমরা এটাই মনে করি যারা নিঃস্ব, দরিদ্র, পথশিশু যারা অবহেলায় অনাদরে বেড়ে উঠছে তাদেরকে যদি বঙ্গবন্ধুর এ আদর্শে অনুপ্রাণিত করা যায়, বঙ্গবন্ধু কী ছিলেন, বঙ্গবন্ধু কেমন ছিলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশের জন্য কী করে গিয়েছেন, কতটুকু আত্মদান করেছেন, এটি যদি শিশুদেরকে বোঝাতে পারি তাহলে এই দিনটি স্বার্থক হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে চাই সোনার মানুষ। আজকের যারা শিশু তারাই একসময় সোনার মানুষ হবে।