বেসামরিক বিমান পবিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পর্যটনকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম উৎসে পরিণত করতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, তাই এ কথা নির্ন্ধিধায় বলা যায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পর্যটন শিল্পেরও জনক।
মন্ত্রী আজ সকালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধু সুইজারল্যান্ডের মত করে বাংলাদেশকে নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঝাউবনের গোড়াপত্তন করেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সমুদ্রের অমিত সম্ভাবনাকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে উত্তরণে ১৯৭৪ সালে সমুদ্র সীমা আইনও প্রণয়ন করছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিত, নিপীড়িত মানুষের নেতা, এবং আমৃত্যু তাদের জন্যই সংগ্রাম করে গেছেন এবং দ্বিধাহীনভাবে বলতে পেরেছিলেন ‘বিশ্ব আজ দু’শিবিরে বিভক্ত; শোষক আর শোষিত; আমি শোষিতের পক্ষে’। তিনি শোষিত মানুষের মুক্তির জন্য সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। এ আলোকেই বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন।
বিটিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন বিমান ও পর্যটন সচিব এসএম গোলাম ফারুক, বিপিসির চেয়ারম্যান আখতারুজজামান খান কবির ও বিটিবির পরিচালক নিখির চন্দ্র রায়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন বিটিবির পরিচালক ড. ভূবন চন্দ্র বিশ্বাস।