সিপিএ চেয়ারপারসন ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তার নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। এটাই ইতিহাসের অমোঘ সত্য। বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতিকে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আইন অনুষদ ঢাবি শাখা আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. শরিফুল হাসান শুভ’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাড. মোল্লা মো. আবু কাওছার, সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আইন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসানসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত ছাত্র নেতারা।
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অসীম সাহস আর মানুষের প্রতি তার ভালবাসা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বলে ছিলেন ‘আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা, আমি বাংলার মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই’। স্পিকার বলেন, জাতির পিতা মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন।
স্পিকার আরও বলেন, দীর্ঘদিন আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের জন্য অপেক্ষা করেছি। ইনডেমিনিটি বিলের মাধ্যেমে এই বিচারে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল। আমরা এই বাধা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করে জাতিকে কলংকমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। স্পিকার আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের ১৯৭২ এর সংবিধান অধ্যয়ন করার আহবান জানিয়ে বলেন, এটি বাংলাদেশের মূল আইন। তিনি গণপরিষদে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত মর্মস্পর্শী ভাষণ অধ্যয়নেরও আহবান জানান। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করে নবীন ছাত্র নেতাদের দেশের ভবিষ্যৎ বির্নিমানে কাজ করার আহবান জানান।