নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় সাগরে মাছধরা ট্রলারগুলো উপকূলের বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ শতাধিক ট্রলার বরগুনার পাথরঘাটা, তালতলী বন্দরের ঘাটে এবং পটুয়াখালীর মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুরের খাপড়াভাঙ্গা নদীতে দেশের বিভিন্ন এলাকার ৪শ’র বেশি মাছ ধরা ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও ৫ শতাধিক ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এ অবস্থায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
মৎস্য বন্দর আলীপুরের আড়তদার ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল ঘরামী জানিয়েছেন, সমুদ্র উত্তাল থাকায় অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার উপকূলের বিভিন্ন নদ-নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। বাকি ট্রলারগুলো সোমবারের মধ্যে ঘাটে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, কিছু ট্রলার এখনো ঘাটে আসছে; এখনো অনেক ট্রলার সাগরে রয়েছে। বেশ কিছু ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে নোঙর করে আছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রাহাত হোসেন জানান, বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তাই সকল মাছ ধরা ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।