প্রকৃতি ও মানুষের সম্মিলিত ইতিহাস। সেই যৌথ কার্যক্রমের জেরে আগুন। হা হা করে প্রায় পাঁচ দশক ধরে জ্বলছে আগুন। এবার সরকারিভাবে তা নেভানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেই সিদ্ধান্তের জেরেই বন্ধ হতে চলেছে ‘নরকের দরজা’ নামে খ্যাত এই আগুনে গহ্বর। আসলে গত কয়েক দশক ধরে আগুন জ্বলছে। তাই একে নরকের দরজা বলা হয়। তুর্কিমেনিস্তানের কারাকুম মরুভূমিতে রয়েছে এই বিশাল গর্ত। সেটিই এবার নেভানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট
যে কারণে এই আগুন নেভানোর পরিকল্পনাঃ
দেশের প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বেরদিমুখামেদভ মনে করেন তাঁর দেশ প্রাকৃতিক সম্পদকে যথাযথ ব্যবহার করতে পারছে না। এ থেকে দেশের অনেক লাভ হতে পারে। উল্টে প্রাকৃতিক ক্ষতি ঘটছে।
যেভাবে এই গর্তের আগুন জ্বলতে শুরু করেছিলঃ
একদল মনে করেন, ১৯৭১ সালে সোভিয়েতের ভূতাত্ত্বিকেরা কারাকুম মরুভূমির এই গর্ত খনন করেছিলেন। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, ১৯৬০-এর দশকে কারাকুম মরুভূমিতে বড় আকারের গর্ত তৈরি হয়। মোটামুটি আশির দশক থেকে সেখানে আগুন জ্বলতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে তুর্কেমেনিস্তান সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কয়েকজন সোভিয়েত ভূতাত্ত্বিক খনিজ তেলের সন্ধানে কারাকুমের এই মরু-অঞ্চলে অভিযান শুরু করেন। ড্রিলিং শুরুর কিছুদিনের মধ্যে তারা বুঝতে পারেন ভূ-গর্ভস্থ গ্যাসের এক ভাণ্ডারের উপরেই তাঁরা দাঁড়িয়ে। এরপর এর কয়েক জায়গায় গর্ত খুঁড়ে এই গ্যাস মুক্ত করা হয়েছিল। তবুও সেখানকার ভূ-গর্ভে জমে থাকা প্রাকৃতিক গ্যাস পুরোটা বের করা সম্ভব হয়নি। ফলে ভূ-পৃষ্ঠের একটা বড় অংশ তারা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। এবং ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে তাঁরা এই গ্যাসক্ষেত্রটিতে আগুন লাগিয়ে দেন। ভেবেছিলেন কিছুদিন পরে এই আগুন নিভবে। কিন্তু তা হয়নি।